মেডিকেল ও ডেন্টাল পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী-অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সংবাদ সম্মেলনে আইনি নোটিশ পাঠানোর কথাও জানানো হয়।
শনিবারে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার হওয়া প্রশ্নপত্র তুলে ধরা হয়।
শিক্ষার্থী-অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সদস্য আসিফ বিন তাকি বলেন, ভর্তি পরীক্ষা যে প্রশ্নপত্র দিয়ে হয়েছে সেটির সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের ৭৭টির মিল রয়েছে। একই সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে পাস করা এক শিক্ষার্থীর মোবাইল কথোপকথন (রেকর্ড) শোনানো হয়।
আগেই প্রশ্নপত্র পেয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছে দাবি করে এমন একজনের ফোনের কথপোকথনও তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
আন্দোলনকারীরা জানান, আইনি লড়াইও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
শিক্ষার্থী-অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সদস্য অধ্যক্ষ আশরাফ কামাল বলেন, আমরা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঘটনা তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি করছি। সেই সাথে এই কমিশনকে তদন্ত কমিশন আইন ১৯৫৬ এর আওতায় গঠন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সময় দিলে সোমবার গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে খোলামেলা আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।
প্রেসক্লাবের সামনে এক অভিভাবক মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা প্রশ্নফাঁসের এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। পুনঃপরীক্ষার দাবি আদায় না হলে অন্তত ৫০০ মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে রাজপথে শুয়ে থাকবো।
১৮ সেপ্টেম্বর মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার এক দিন পর থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তুলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।
গত বুধবার আন্দোলনের ১৯তম দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক শিক্ষার্থীর সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এতে কমপক্ষে ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।