সিলেট থেকে: তিন দিনের ব্যবধানে একইরকম দুটি ঘটনা। সিলেট টেস্টের প্রথম দিন মাঠে ঢুকে গিয়েছিলেন সাইফুল নামের এক কিশোর। প্রিয় ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে কাছ থেকে দেখতে চলে যান উইকেটে। সোমবার তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের উদযাপনের মাঝে ঢুকে পড়েন আরেক যুবক। দুই দিনে স্টেডিয়ামের দুই প্রান্ত দিয়ে দুই দর্শকের মাঠে প্রবেশে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
সোমবার পথের কাঁটা হয়ে ব্যাটিং করতে থাকা উইলিয়ামসকে যখন বোল্ড করেন তাইজুল ইসলাম, সঙ্গে সঙ্গে মাঠে ঢুকে পড়েন ওই দর্শক। গ্রিন গ্যালারি থেকে দৌড়ে টাইগারদের দলীয় উদযাপনের মধ্য ঢুকে পড়েন। পরে বিসিবির নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশ সদস্যরা দ্রুতই তাকে বাইরে নিয়ে আসেন।
খেলা শেষে ম্যাচ রেফারি তার প্রতিবেদনে মন্তব্য করে থাকেন ভেন্যু ও উইকেট নিয়ে। এটিই আইসিসির রীতি-নিয়ম। সেখানে যদি নেতিবাচক কিছু থাকে তাহলে ক্ষতিটা বাংলাদেশেরই। বিসিবি নিরাপত্তা প্রধান মেজর (অব:) হোসেন ইমাম বিষয়টি ঠেলে দিলেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোর্টে। মাঠে দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা পুলিশ সদস্যসের আরও সচেতন হতে বললেন তিনি।
‘এখানে বিসিবির নিরাপত্তা কর্মী আছেন ২০ জন। তারা মূলত সার্বিক পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন। গ্যালারির নিরাপত্তা বা মাঠে কেউ ঢুকে পড়ল কিনা, এসব দেখার দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। আমার মনে হয় দায়িত্ব পালনে তাদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’
বাংলাদেশে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ বলে অতীতে সফর বিলম্বিত করেছে অনেক বিদেশি দলই। ভক্তদের মাধ্যমে অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে তখন কী হবে? নয়নাভিরাম সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম বেশ সুনাম কুড়ালেও টেস্ট অভিষেকেই ভক্তদের হঠকারী দুটি ঘটনায় বিব্রত বিসিবিও।
প্রিয় খেলোয়াড়কে নিয়ে ভক্তদের পাগলামি থাকবেই। অটোগ্রাফ কিংবা সেলফি তোলার আবদার হৃদয়ে উৎসারিত ভালোবাসারই নমুনা। ক্রিকেটাররা সেটি মিটিয়েও থাকেন সুযোগ হলে। কিন্তু খেলার সময় মাঠে ঢুকে পুরো স্টেডিয়ামে আতঙ্ক ছড়ানো ভালোবাসার কেমন নিদর্শন, সে প্রশ্নই এখন উচ্চকিত হচ্ছে।