এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সরবরাহ এবং রেজাল্ট পরিবর্তনের প্রলোভন দেখিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুয়া আইডির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাঁচ কিশোরকে আটক করেছে র্যাব।
আটক কিশোরদের কাছ থেকে পাঁচটি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা অভিযান চালিয়ে নরসিংদীর বেলাবো এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আদমজী র্যাব-১১ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিয়ে এসব তথ্য জানান র্যাব ১১ উপ-অধিনায়ক স্কোর্ডন লিডার রেজাউল হক।
তিনি বলেন: প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোররা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। অপরাধীরা ফেসবুকে ভিপি খান, প্রিন্স খান, আকতার খান, প্রিন্স নিলয়, মায়াবি পলক, রোহান চৌধুরি নামে ভুয়া আইডি খুলে প্রশ্ন প্রদানের বিজ্ঞাপন দিয়ে পোষ্ট দেয়। তাদের এই পোষ্ট দেখে অনেক শিক্ষার্থী ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নানা কৌশলে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায় করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো জানায়, ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগে তারা নিজেরা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার আশায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র প্রাপ্তির চেষ্টায় লিপ্ত হয়। কিন্তু তারা অর্থপ্রতারণার শিকার হয়। এজন্য এ বছর তারা টাকা হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে একই ভাবে অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা শুরু করে।
র্যাব ১১’র সহকারী পরিচালক ও সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান: ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের একটি সেন্ট্রাল চক্র রয়েছে। সারাদেশে এই চক্রের প্রায় দুই শতাধিক সদস্য রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের আইডি লক করা রয়েছে। এই চক্রটিকে চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য জোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে র্যাব।
তিনি বলেন: আটকরা স্বীকার করেছে যে, গত এক মাসে তারা প্রায় ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে। যেসব শিক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র পাওয়ার জন্য এই ফাঁদে পা বাড়িয়েছে তা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাই জানেন না।
এজন্য তিনি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সন্তানের পড়াশোনার প্রতি আরো সচেতন হতে বা নজরদারি বাড়ানোর আহবান জানান।