শেষ হচ্ছে সাত দিনব্যাপী চ্যানেল আইয়ের ঈদ আয়োজন। টেলিভিশনে অনুষ্ঠানগুলো সম্প্রচারের পর চ্যানেল আইয়ের ইউটিউবেও সেগুলো দেখতে পারছেন দর্শক। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিনই ইউটিউবে দেখা যাচ্ছে নতুন নতুন নাটক, টেলিছবি।
ইউটিউবে বেশকিছু নাটক, টেলিছবির প্রশংসা করছেন দর্শক। তারমধ্যেে আলোচনার শীর্ষে সাইদুর রহমান রাসেলের পরিচালনায় টেলিছবি ‘শূন্য পাতার চিঠি’। প্রশংসায় ভাসছে ‘শূন্য পাতার চিঠি’, আলোচনায় এ্যালেন শুভ্র ও মিষ্টি জাহান অভিনীত দারুণ গল্পের এই টেলিছবিটি সব শ্রেণির দর্শকদের মনে জায়গা করে নিচ্ছে।
বিশেষ করে টেলিছবিটির ইউটিউব মন্তব্যে চোখ বুলালে দেখা যায়, দর্শকের অসংখ্য মন্তব্য। বেশির ভাগই মন্তব্যই করেছেন প্রবাসী বাঙালিরা। টেলিছবিটির গল্পের সঙ্গে তাদের নিজের জীবনের মিল খুঁজে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়েছেন।
টেলিছবিটি দেখেন একজন লিখেছেন, ভীষণ ভাল লেগেছে। ঘুমিয়ে থাকা অসংখ্য অনুভূতিগুলো ‘শূন্য পাতার চিঠি’ পড়ছে। কালোর সাথে লালের জয় পরাজয়ের খেলায় লাল টুকু জিতে যাক অনন্তকাল জুড়ে, এই প্রত্যাশাই জীবনের তরে।
আরেকজন লিখেছেন, এতো আবেগ, ইমোশন দিয়েও নাটক বানানো যায় বার বার চোখের পানি চলে আসছে। আমি একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। প্রায় ৬ বছর ধরে মা বাবাকে ছাড়া আছি, কত যে কষ্ট তা বলে বুঝাতে পারবো না।
নূর ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, এত সুন্দর মৌলিক গল্প এবং চিত্রনাট্য। আমি একটা সেকেন্ডের জন্য নাটক থেকে চোখ সরাতে পারেনি। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় অসাধারণ গল্পের সাথে পুরা মিশে আছে।
জাকির হোসেন নামের এক দর্শক লিখেছেন, এই বারের ঈদের সেরা উপহার আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগছে এই নাটকটি। সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
মাহাদি হাসান লিখেছেন, অসাধারণ নাটক। যেমন গল্প, তেমন জায়গা আর অভিনয় তো কিছু বলার নেই। ভালো নাটক। সামাজিক নাটক।
মো. শাহজাহান নামের এক দর্শক আবেগতাড়িত হয়ে লিখেছেন, যার সংসারে মা নেই বাবা থেকেও না থাকার মতো, অন্যের সংসারে মানুষ- সেই ছাড়া এই নাটকের মূল্য কেউ বুঝবেনা। কারো কষ্ট কেউ অনুভব করতে পারে না।
বাবুল হোসেন নামের এক দর্শক বলেন, এত আবেগ দিয়ে অভিনয় আমি আর সহ্য করতে না পেরে কেঁদেই দিলাম। এই নাটকগুলো যদি ইংরেজি সাবটাইটেল থাকতো, তাহলে বিদেশে বেড়ে উঠা বাঙালি ছেলে মেয়েগুলো নিজ দেশের এই অসাধারণ সৃষ্টিগুলোর সাথে পরিচিত হতে পারতো।
টেলিছবিটি দেখে দর্শক বেশি পছন্দ করেছেন অ্যালেন শুভ্র’র অভিনয়। অন্তত মন্তব্য দেখে এমনটাই বোঝা গেল। জাকির লিখেছেন, প্রশংসায় ভাসছে ‘শূন্য পাতার চিঠি’, আলোচনায় এ্যালেন শুভ্র আগামীর হুমায়ুন ফরিদী ও ফজলুর রহমান বাবু।