ম্যাচের ৭৭ মিনিট। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আইসল্যান্ডের ডি-বক্সে বল নিয়ে ঢুকে পড়লেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান পাভোন। এমন সময় তাকে পায়ে লাগিয়ে ফেলে দিলেন আইসল্যান্ড ডিফেন্ডার সেভার্সসন। আর্জেন্টাইনদের পক্ষ থেকে উঠল পেনাল্টির আবেদন। তাতে কর্ণপাতই করলেন না রেফারি। আর অধিনায়ক মেসি তখন ভুলেই গেলেন প্রযুক্তির সাহায্য চাইতে!
পেনাল্টি, ফাউল, কার্ড সংক্রান্ত বিতর্ক কমাতে রাশিয়া বিশ্বকাপে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভিএআর প্রযুক্তির ব্যবহার করছে ফিফা। শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফ্রান্সের একটি গোলের পথ খুলেছে ভিএআর প্রযুক্তি ব্যবহার করেই।
চাইলে রেফারিও সেসময় ভিএআরের সাহায্য নিতে পারতেন। তিনি তার প্রয়োজন মনে করেননি। আর্জেন্টিনার পক্ষ থেকেও ওঠেনি জোরাল কোনো রব। যদি মেসি প্রযুক্তির সাহায্য চাইতেন, আর রেফারি সাড়া দিতেন, তাহলে কী ফলাফল ঘুরে যেত?
টিভি রিপ্লে বলছে, পেনাল্টি পাওয়ার মতো বড় রকমের ফাউলই করেছিলেন সেভার্সসন। অর্থাৎ, খেলার মোড় ঘুরে যাবার মতো একটা পেনাল্টি পেতে পারত আর্জেন্টিনা! তাহলে হয়ত হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হত না মেসিদের।
অবশ্য মেসিরা চাননি বলেই যে ভিএআরের সাহায্য নেননি রেফারি, বা মেসিরা চাইলেই রেফারি সেটা নিতেন তেমনও নয়। রেফারি কখন ভিএআরের সাহায্য নেয়ার প্রয়োজন মনে করবেন সেটা তারই এখতিয়ার। তবে মেসিরা জোরাল আবেদন করলে রেফারি হয়ত বিতর্ক এড়াতে ভিএআরের সাহায্য চেয়েও বসতে পারতেন। তাতে সুফলও আসতে পারত আর্জেন্টিনার!
আবার এই ভিএআরের চেয়ে বড় হতাশাও আছে আর্জেন্টিনার। ৬২ মিনিটে মেসি পেনাল্টির সুযোগ হাতছাড়া করেন। দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কাছেই ম্যাচের শেষে হতাশার বিষয়। সেই ঘোরেই কিনা আরেকটি পেনাল্টি পাওয়ার সুযোগ নিতে ভুলে গেলেন মেসিরা!