ভারতের মণিপুর রাজ্যের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে সেখানকার একটি রাজনৈতিক প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার লন্ডনে বসে প্রবাসী সরকার গঠনের ডাক দিয়েছেন মণিপুরের এই নেতারা।
মণিপুর রাজ্যের মহারাজা সানাজাওবার পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করেন স্বঘোষিত রাজ্য পরিষদের মুখ্যমন্ত্রী ইয়ামবেন বিরেন ও রাজ্য পরিষদের বিদেশ ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী নারেংবম সামারজিত।
রাজ্য পরিষদের বিদেশ মন্ত্রী নারেংবম সামারজিত ‘মণিপুর স্টেট কাউন্সিল’ ঘোষণা করে বলেন, নির্বাসিত সরকারের মাধ্যমে মণিপুরকে জাতিসংঘের সদস্য পদে অর্ন্তভুক্তির জন্য আবেদন করা হবে।
পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি জোগাড়ে ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ (দ্বিতীয়)-এর কাছে আবেদন করেছেন ওই নেতারা।
লন্ডনে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ওই নেতা বলেন, ‘আমরা পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘের সদস্যর দাবি জানাই, আমরা আশা করি অনেক রাষ্ট্রই আমাদের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিবে।’
‘বৈঠকে নিজেদের মণিপুর স্টেট কাউন্সিল এর নেতৃত্ব ঘোষণা করে পৃথক প্রশাসনের ডাক দিয়ে নির্বাসিত সরকার চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ওই নেতারা। এসময় ২০১২ সালে মণিপুরের প্রথমবারের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করে শোনান তিনি।’
ওই নেতা আরও অভিযোগ করেন, মণিপুরের বাসিন্দাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। ‘সুপ্রিম কোর্টে এমন ১৫২৮টি হত্যার মামলার ভবিষ্যৎ এখনও ঝুলে রয়েছে’ বলেও দাবি করেন তিনি।
নারেংবম সামারজিত বলেন, ‘আমরা সেখানে স্বাধীন নই, আমাদের ইতিহাস ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, আমাদের সংস্কৃতি আজ বিলুপ্তের পথে। সুতরাং জাতিসংঘের আমাদের কথা শোনা উচিৎ, আমরা বিশ্বের কাছে শুধু এতটুকু জানাতে চাই, মণিপুরে যারা বাস করে তারাও মানুষ।’
তবে এ বিষয়ে লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশন কোনো মন্তব্য করেনি।
মণিপুর ভারতের সবচেয়ে ছোট প্রদেশ হলেও সেখানে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। ভারতের উত্তরপূর্ব অঞ্চলের সাতটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত সেভেন সির্স্টাসের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রদেশ।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীন হয় মণিপুর রাজ্য। তার দু’বছর পরে মণিপুর ভারতের অংশ হয়। মণিপুর স্টেট কাউন্সিলের দাবিতে এর আগেও একাধিকবার আন্দোলন ও সংগ্রাম হয়েছে।