বল প্রয়োগ করে প্রধান বিচারপতিকে ছুটিতে যেতে বাধ্য করার পর এখন দেশ ত্যাগে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, নজীরবিহীন ঘটনা হচ্ছে ছুটির দরখাস্তে প্রধান বিচারপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করেছে সরকারের এজেন্টরা। তার দরখাস্তে ৯টি শব্দের বানান ভুল। সন্ত্রাসী কায়দায় প্রথমে প্রধান বিচারপতিকে গৃহবন্দী করে রাখার পর এখন তাকে নজরবন্দী করে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির ওপর আক্রোশের নির্দেশদাতা স্বয়ং সরকার প্রধান। সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন এজেন্সির লোকেরা প্রতিনিয়ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে পারলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বারবার চেষ্টা করেও এখন পর্যন্ত দেখা করতে পারেননি। প্রধান বিচারপতি সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলেও প্রচন্ড চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে অসুস্থতার কথা বলা হচ্ছে। চিকিৎসার নামে ডাক্তার পাঠানো হচ্ছে। যা সরকারের নির্লজ্জ নাটক।
জনগণ সরকারের এসব সাজানো নাটক তিল পরিমাণও বিশ্বাস করে না বলে দাবি করেন রিজভী।
বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলেই সরকারের উদ্দেশ্য সাধিত হয় এবং একদলীয় শাসনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে বিলম্ব হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী আরও বলেন, বিচার বিভাগের ওপর সরকারের পরিকল্পিত আক্রমণ সাধারণ মানুষের জীবনপ্রবাহ রুদ্ধ করে দেয়ার মতো অভিঘাত। এরা ক্ষমতার চাহিদা মেটাতে জনগণকে পরাধীনতার সুদৃঢ় বন্ধনে বন্দী করার জন্য সর্বোচ্চ আদালতের ওপর সর্বগ্রাসী আক্রমণ চালিয়েছে। ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা ক্ষুধার গ্রাসে অসহায় ক্ষুদ্ধ মানুষের প্রতিবাদ অতলে তলিয়ে যাবে। দেশ নরমেধযজ্ঞের লীলাভূমিতে পরিণত হবে।
এমতাবস্থায় মানুষের নিরাপদে বেঁচে থাকার তাগিদে এই মুহূর্তে দল-মত-বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা নির্বিশেষে সবাইকে ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।