চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইসিসি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশ সফররত ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করেছেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে তারা সাক্ষাত করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী জানুয়ারি মাসে আইসিসি আন্ডার নাইনটিন (ইউ-১৯) বিশ্বকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সকল অংশগ্রহণকারী, আম্পায়ার, রেফারী, কর্মকর্তা ও দর্শকদের জন্য আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সফররত আইসিসি নিরাপত্তা পর্যালোচনা টিমকে আশ্বাস দিয়েছেন।

আইসিসি নিরাপত্তা পর্যালোচনা টিম আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আন্ডার নাইনটিন বিশ্বকাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কেননা, তারাই ভবিষ্যৎ খেলোয়াড়। তাই, বাংলাদেশ এই ইভেন্ট সফল করার জন্য সর্বোত্তম ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী আইসিসি টিমকে অবহিত করেছেন যে, যেহেতু নিরাপত্তা একটি উদ্বেগের বিষয়, তাই, বাংলাদেশ সবসময় আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখে। আইসিসি’র প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন। টিমের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন আইসিসি নিরাপত্তা পরামর্শক সিয়ান নোরিস ও রেগ ডিকসন এবং ইভেন্ট প্রধান ক্রিস টেটলি। সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডেভিড রিচার্ডসন বলেন, আইসিসি নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখার জন্য যে কোন ইভেন্টের আগে আয়োজক দেশ সফর করে এবং নিশ্চিত করতে চায় যে, অংশগ্রহণকারী, আম্পায়ার, রেফারী, কর্মকর্তা ও দর্শকদের জন্য এবং দর্শকবৃন্দ ও তাদের বন্ধু ও পরিবারের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যে কোন হুমকি বা ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সফর বাতিলের উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশেষ এই কারণেই এ টিম বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে বাংলাদেশে এসেছে। তিনি বলেন, এ টিম ইতোমধ্যে ভেন্যুগুলো পরিদর্শন এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল নিরাপত্তা সংস্থা, সদস্য দেশগুলোর কয়েকটি হাইকমিশন, বেসামরিক ও সামরিক নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে।

রিচার্ডসন বলেন, তার টিম টুর্নামেন্ট চলাকালে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বশীল সকল নিরাপত্তা সংস্থা, গোয়েন্দ সংস্থা, পুলিশ, সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপত্তা অধিকতর চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠেছে। তবে, এর অর্থ এই নয় যে, আমরা বিশেষ কোন স্থানে ইভেন্ট করতে পারবো না। বরং এর অর্থ হচ্ছে যে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করতে হবে যাতে ঝুঁকি ও হুমকি মোকাবেলা করা যায়।

স্টেডিয়ামগুলোর অবস্থা সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে আইসিসি’র প্রধান নির্বাহী বলেন, প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিশেষ করে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম দেখে খুবই খুশী। এই টিম আইসিসি বোর্ডের কাছে এসব তথ্য জানাতে একটি গোপনীয় রিপোর্ট দিবে এবং আশা করা হচ্ছে যে বোর্ড প্রত্যেকের জন্য নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা চূড়ান্ত করবে।

আইসিসি আন্ডার নাইনটিন বিশ্বকাপ ২৭ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে। এই ইভেন্টে ১৬টি দেশ মোট ৪৮টি ম্যাচ খেলবে।