ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিন পরাজয়ের পর ম্যাকনামারার তত্ত্বের ভিত্তিতে অনুন্নত দেশগুলোতে এনজিও কার্যক্রম চালু হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পর ব্র্যাক, গণস্বাস্থ কেন্দ্র, প্রশিকা, গণসাহায্য সংস্থা ও নিজেরা করিসহ গোটাকয়েক এনজিও ছিল।
গত ২২ জুন রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউ
ল্যাব) আয়োজিত, বাংলাদেশের মৌলিক উন্নয়নে কাজ করা এনজিওগুলোর অধোগতি শীর্ষক
জনবক্তৃতায় অংশ নেন লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স এন্ড পলিটিক্যাল অধ্যাপক ডেভিড লুইস।
এদেশের এনজিও’র ইতিহাস বিশ্লেষণ করে ডেভিড লুইস বলেন, প্রশিকা (১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত), গণ সাহায্য সংস্থা (১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত), সমতা (১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত)। নব্বইয়ের দশক ও ২০০০ এর আগে এসব এনজিও ছিল শীর্ষ অবস্থানে। কিন্তু এখন সেগুলো দৃশ্যপট হতে দূরে সরে গেছেন অথবা ক্ষুদ্র ঋণের কাজে অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেছে। তবে নিজেরা করি এখনো তার মৌলিক ঐতিহ্য ধরে রেখে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে কতগুলো এনজিও রয়েছে তা সাধারণভাবে জানার উপায় নেই। হয়তো এনজিও বিষয়ক ব্যুরো বলতে পারবে। কোনো এনজিওর প্রধান অফিস ঢাকায়, কোনো এনজিওর জেলায়, কোনো এনজিওর উপজেলায় আবার কোনো এনজিওর প্রধান অফিস নির্বাহী পরিচালকের গ্রামের বাড়িতে। বিদেশী অর্থায়নে পরিচালিত এই সংস্থাগুলো বাংলাদেশের সরকারি চাকরি নীতিমালা, বদলি নীতিমালা, নিয়োগ বিধিমালা, বেতন-ভাতা, ছুটি, কর্মঘণ্টা কিছুই মানছেন না।
একেক এনজিও একেক নিয়মে তাদের নিজেদের বানানো নিয়মেই পরিচালিত হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতি আছে, পল্লীবিদ্যুত, বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারী শিক্ষক, ব্যাংক, গার্মেন্টস সর্বত্রই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবী দাওয়া আদায়ের জন্য নিজ নিজ ইউনিটি রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোটাভুটিও হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের এনজিওর কর্তাব্যক্তিরা তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এরকম কোন সুযোগ দিচ্ছেনা।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও হয়তো ঊর্ধ্বতনের বিরাগ ভাজন হওয়ার ভয়ে এরকম কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। এনজিওগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন অনুন্নত অঞ্চল বিদেশী দাতাদের পরিদর্শন করিয়ে কোটি কোটি টাকা ডোনেশন নিয়ে থাকে। সরকার যদিও বলছে, তাদের ফান্ড প্রাপ্তি ও প্রয়োগের বিবরণ জানাতে হবে। কিন্তু বাস্তবে এর ছিটেফোঁটাও কোন তৎপরতা নেই। এমন কি প্রধানমন্ত্রী চাকরিজীবীদের জন্য ৯ দিন ঈদের ছুটির বিষয়ে যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন এনজিওগুলো তাও মানছে না; গুরুত্বও দিচ্ছে না।
বাংলাদেশে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর অস্তিত্ব কেবলই নামকাওয়াস্তে। বাস্তবে এর কোনো তৎপরতা নেই। ঈদের ছুটি নিয়ে বরাবরের মতো এবারও এনজিওগুলোতে চলছে খেয়াল খুশির সিদ্ধান্ত। যেমন কেউ ৭ দিন, কেউ ৬ দিন, কেউ ৫ দিন, কেউ কেউ ৩ দিনও দিচ্ছে বলে শোনা যায়। তাদের মনোভাবটা হয়তো এরকম যে তারা সরকারের অধীনে চাকরি করেন না; তাই সরকারকে ফলো করতে বাধ্য নন। তাদের যে কোন বিষয়ে সরকার নয় তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই নীতি নির্ধারক।
নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকার, নিম্নবিত্ত মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, দুঃস্থদের স্বাস্থসেবা, ঝরে পড়া শিশুদের পাঠদান প্রভৃতি গৎবাঁধা বুলিই এনজিওদের অস্ত্র। কিশোরগঞ্জের নিকলি উপজেলার সবচেয়ে অনুন্নত এলাকা হল ছাতিরচর ইউনিয়ন। বিভিন্ন এনজিও ফান্ড পেতে দাতাদের ওখানে নিয়ে যেতে প্রতিযোগিতায় নামে।
ভাসমান বিদ্যালয় নামে একটি প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে ওখানে চলে আসছে। তাদের প্রজেক্ট অফিস নিকলিতে। তাদের অফিস স্টাফদের পদবিন্যাস ও বেতন কাঠামো ছিল নিম্নরূপঃ
(১) প্রোগ্রাম কো অর্ডিনেটর (পিসি): ৩৮,০০০/৪০,০০০টাকা
(২) ফিল্ড সুপার ভাইজার: ১৩,০০০ টাকা
(৩) কমিউনিটি ফ্যাসিলেটেটর: ৮,৩০০ টাকা
(৪) শিক্ষক: ৫,০০০ টাকা
(৫) লঞ্চের সারেং: ১৩,০০০ টাকা
(৬) লঞ্চ হেল্পার: ৮,০০০ টাকা
(৭) অফিস পিয়ন: ৩,০০০টাকা।
কর্ম এলাকায় থেকে কাজ করেন এসব ফিল্ডফ্যাসিলেটেটর ও শিক্ষকরা। প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে এই স্বল্প বেতনে ফ্যাসিলেটেটর ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ছিল তিক্ত অভিজ্ঞতা। একজন শিক্ষিকা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে গেলে তার পদে আরেকজনকে নিয়োগ দিয়ে দেয়। এরপর হঠাৎ তাদের বেতন কমিয়ে আড়াই হাজার করে দেয়। ৫ জন কমিউনিটি ফ্যাসিলেটেটর (সিএফ) এর বেতনের সমান একজন পিসির বেতন। এখানকার পিসি ছিলেন মাসুদুজ্জামান হায়দার। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলায়। তার নিজের চাকরি বহাল রাখতে হেড অফিসে লবিং করে সিএফদের চাকরিচ্যুত করিয়ে নেন তিনি। তার ব্যক্তিগত পছন্দের একজন ফিল্ড সুপারভাইজার রেখে অন্য সুপারভাইজারদেরও কৌশলে সরিয়ে দেয়া হয়।
কিছুদিন পর পিসি হায়দারের পছন্দের ফিল্ড সুপারভাইজার আব্দুল গনি অন্য চাকরিতে ঢুকে গেলে তিনি একাই অফিস চালিয়ে বেতন ভোগ করতে থাকেন। এনজিওগুলোর বেশির ভাগের মাঝেই নেই স্থির বেতন কাঠামো, নেই বদলি নীতিমালা ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্টকরণ। উল্লেখ্য একসময় লঞ্চের সারেং ও হেল্পারের বেতনও কমানো হয়। পরে আবার বাড়ানো হয়। সবই চলে কর্তাব্যক্তিদের মর্জিমত। কমালে চাকরিজীবীদের প্রতিবাদের সুযোগ নেই।
নেত্রকোনায় স্বাবলম্বী নামের একটি এনজিও রয়েছে। এর নির্বাহী পরিচালক বেগম রোকেয়া মুশতরা। কেয়ার বাংলাদেশের মাধ্যমে সৌহার্দ-১ ও সৌহার্দ-২ দুটো প্রকল্প পেয়ে তারা জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে নারী কর্মিরা এইচএসসি পাশে আবেদন করতে পারবে। অনেক নারী আবেদন জমা দিয়েছে। স্ক্রুটিনিতে তাদের বাদ না দিয়ে ইন্টারভিউ বোর্ডেও ডেকেছে। ডেকে নিয়ে তাদের বলা হয়, আপনারা আবেদন করলেন কেন আমরা ডিগ্রি পাশ ছাড়া নেব না। এক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন এইচএসসি নেবে না তাহলে তাদের ডাকল কেন। বাছাইয়ে বাদ দিয়ে দিলেই পারত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রে জানা যায়, স্বাবলম্বিতে উচ্চপদে নিয়োগে এমনও ঘটে যে মাসিক ৬০, ০০০ টাকা বেতন হলে কর্মকর্তা পায় ৪০ অথবা ৫০ হাজার। বাকিটা রেখে দেয়া হয়। এই শর্তে অনেক কম শিক্ষাগত যোগ্যতার লোকও নিয়োগ পেয়ে যেতে পারত এখানে। বেতন বেশি থাকায় অনেকেই এভাবেও চাকরি পেতে রাজী হয়ে যায়। আর যারা মাঠে ও মানুষের সাথে লেগে থেকে কাজ করে তাদের বেতন ৮, ৯, ১০ এবং ১১ হাজার টাকার বেশি হয়না।
এক ফ্যাসিলেটেটর অথবা মাঠকর্মী পদের বিভিন্ন এনজিওতে বিভিন্ন রকম বেতন। পিয়ন ও নৈশ প্রহরীর বেলাতেও বিভিন্ন এনজিওতে বিভিন্ন বেতন। এখানে রাজার বাড়ির কামলা ও প্রজার বাড়ির কামলা বৈষম্যও রয়েছে। এনজিওর হেড অফিসের পিয়ন আর উপজেলা অফিসের পিয়নের মধ্যে বেতনের অনেক পার্থক্য। ফ্যাসিলেটেটরের চেয়ে পিয়নের বেতন বেশি হওয়ায় অনেক ফ্যাসিলেটেটরকেও হেড অফিসের পিয়ন হয়ে যেতে দেখা যায়। কেয়ার বাংলাদেশের হেড অফিসের পিয়নের বেতন আরও বেশি বলে জানা যায়।
ফিল্ড সুপারভাইজার পদেও তাই। এছাড়াও রয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়েও বেতন বৈষম্য। জানা যায় বিএনপিএস, বাপসা, পিএসটিসি, এফপিএবি, আরএইচ স্টেপ ও ডিএসকে প্রভৃতিসহ আরও অন্যান্য এনজিও প্রকল্পে এসএসসি পাশ যোগ্যতার প্যারামেডিকেল পদে মাসিক ২০ হতে ২৩ হাজার টাকা বেতন। অথচ একই প্রকল্পে স্নাতক ডিগ্রিধারী চাওয়া পদে ১০ হতে ১৪ হাজার টাকা বেতন। এক ফ্যাসিলেটেটর পদে বিভিন্ন এনজিওতে বেতন বিভিন্ন। এক সুপারভাইজার পদে বিভিন্ন এনজিওতে বেতন বিভিন্ন।
শোনা যায়, সৌহার্দ-১ ও সৌহার্দ-২ এ ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় বিদেশীরা এবার সৌহার্দ-৩ স্বাবলম্বীকে দেয়নি। কিন্তু কি সে অনিয়ম? সেটা উদ্ঘাটন করা আবশ্যক। এবার দেখা যাক সৌহার্দ-৩ এর বাস্তবতা। কেয়ার বাংলাদেশের মাধ্যমে এবার এই প্রকল্পটি পেয়েছে পপি ও আহছানিয়া মিশন। এক প্রকল্পের দুই এনজিওতে বেতন কাঠামো ভিন্ন।
আহছানিয়া মিশন সৌহার্দ-৩ এর বেতন কাঠামো:
প্রোগ্রাম ম্যানেজার (পিএম): ৪৬,০০০ টাকা
ফিল্ড সুপার ভাইজার: ২৮,০০০ টাকা
ফিল্ড ফ্যাসিলেটেটর: ১৫,০০০টাকা
পপি সৌহার্দ-৩ এর বেতন কাঠামোঃ
প্রোগ্রাম ম্যানেজার: ৪৫,৩৫০ টাকা
ফিল্ড সুপার ভাইজার: ২৩,০০০ টাকা
ফিল্ড ফ্যাসিলেটেটর: ১৩,৩০০ টাকা
নৈশপ্রহরী ও অফিস সহকারী: ৯,৫০০ টাকা
স্বেচ্ছাসেবক: ২,১০০ টাকা
সৌহার্দ-৩ এ পিএম ও ফিল্ড সুপারভাইজাররা কেয়ার বাংলাদেশের নির্দেশে পরিচালিত হয়। কেয়ার বাংলাদেশের ভূমিকা অনেকটা পুলিশের মত। সৌহার্দ-৩ এ নিয়োগ পাওয়া এফএফরা বাসা ভাড়া পাওয়ার আগ পর্যন্ত লুকিয়ে সৌহার্দ অফিসের ফ্লোরে মাদুর বিছিয়ে রাত্রি যাপন করে। হঠাৎ করে কেয়ারের লোক এসে পড়লে মাদুর লুকিয়ে ফেলতে হয়। কেয়ারের কর্মকর্তা রাত নয়টায় এলে নয়টাতেই অফিস টাইম। জানা যায় কেয়ারের কর্মকর্তারা এই আগমন বাবদ মোটা অংকের টিএ,ডিএ নিয়ে থাকে।
তার উপর রয়েছে পিএম ও এফএসের খবরদারী। কোনো ফিল্ড ফ্যাসিলেটেটরকে এফএসের ভাল না লাগলে নিয়োগের একমাস যেতে না যেতেই নারী কর্মিকে দূর্গম এলাকায় বদলির ঘটনা ঘটছে। কেউ একাডেমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে তাকে ছুটি দেয়া হয় কিন্তু বেতন কর্তন করা হয়। মাইক্রো ক্রেডিটের প্রতিটি এনজিও ই কেয়ার বাংলাদেশকে ধর্না দিয়ে থাকে দাতা গোষ্ঠীর ফান্ড পেতে।
আর কেয়ার বাংলাদেশ এসব ফান্ড হতে নিজেদের সর্বোচ্চ বেতন রেখে বাকিটা দিয়ে থাকে। কেয়ার বাংলাদেশের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকার জ্ঞাত আছেন? এদের আকাশ চুম্বী বেতন সম্পর্কে সরকার ও জনগনের জানা দরকার। প্রতিটি মাইক্রোক্রেডিট এনজিওই বিভিন্ন প্রকল্প পেতে মুখিয়ে থাকে।
গণকল্যাণ সংস্থা নামের একটি এনজিও। তাদের হেড অফিস ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে। ভিজিডি উন্নয়ন প্রকল্প নামে তারা একটি প্রকল্প বিভিন্ন ইউনিয়নে পরিচালনা করেছে। তারা জনবল নিয়োগ দিয়েছে বিভিন্ন উপজেলায়। এখানে কমিউনিটি ফ্যাসিলেটেটরদের বেতন ছিল ৪,০০০ টাকা। বাংলাদেশে এরকম মোট কয়টি প্রকল্প আছে? তাদের কতোজন জনবল? তাদের বেতনের সার্বিক অবস্থা কী। সরকার কি তা জানেন?
জবাবটা সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মাধ্যমেই পেতে চাচ্ছি। সাপ্তাহিক নিয়মিত ছুটিতেও একেক এনজিও একেক রকম। গোটা কয়েক এনজিও সরকারকে ফলো করে শুক্র ও শনি দুইদিন ছুটি রাখে। অধিকাংশই ফলো করে না। অনেক এনজিও কর্মির সাথে কথা বলে জানা যায়, আসলে বুঝি তাদের ছুটিই নেই। শুক্রবারেও অনেক সময় তাদের অফিস করতে হয়। এছাড়াও মাইক্রো ক্রেডিট প্রগ্রামগুলোতে চলছে আরেক ধরনের নির্যাতন।
ঋণগ্রহীতার কাছ হতে কিস্তির টাকা যদি মাঠকর্মি আদায় করতে ব্যর্থ হয়। তখন সেই কিস্তি মাঠকর্মির বেতন হতে কেটে নেয়া হয়। এনজিওগুলোতে চলমান এই অনিয়ম, নৈরাজ্য ও বিশৃংখলা অবসানের দায়িত্ব সরকারের। প্রতিটি এনজিওর নির্বাহী পরিচালক হতে শুরু করে পিয়ন ও নৈশ প্রহরী পর্যন্ত সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও টিএ, ডিএ সম্পর্কে কি সাক্ষীগোপাল এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কিছু জানে?
প্রকল্পগুলোর প্রাপ্ত ফান্ড হতে যাদের দারিদ্র দেখিয়ে ফান্ড সংগ্রহ করা হলো। তারা কতোটাকার সুবিধা পায় এই খবর কি সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো রাখেন? দেশব্যাপী বেতন বৈষম্যের শিকার এনজিও কর্মিদের মধ্যে রয়েছে অপ্রকাশ্য চাপা ক্ষোভ। এরকম ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে এরকম হয়রানি ও অনিয়ম খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত।
এনজিওতে চলতে থাকা এসব স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও জবাবদিহি হীনতার দ্রুত অবসান করা হোক। পবিত্র রমজান মাসে সরকারের অফিস টাইমও ফলো করে না এনজিওরা। অনেক এনজিও কর্মি রোজার দিনে ও সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে। এসবের বিরুদ্ধে দ্রুত বৃদ্ধি করা হোক সরকারের জনবান্ধব কঠোর নজরদারী।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)