বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলতি সফরে তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ভারত। শনিবার দেশটির বাংলাদেশ-মায়ানমার বিষয়ক যুগ্ম পররাষ্ট্র সচিব শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘তিস্তা চুক্তি নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিষয়টি নিয়ে অামরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে অাসতে পারিনি। এর জন্য আরো অপেক্ষা করতে হবে।’
এই কর্মকর্তা আরো বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বোর্ডের সাথে কথা না বলে ভারতের কেন্দ্র সরকার এ বিষয়ে অগ্রসর হবে না। তিস্তার পশ্মিমবঙ্গের অংশে পানি স্বল্পতার কথা বলে মমতা ব্যানার্জী কঠোরভাবে এর বিরোধীতা করে আসছেন।’
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শুক্রবার চার দিনের সফরে ভারত গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই সফরে বেসামরিক পরমাণু এবং সামরিক সহযোগিতা চুক্তিসহ দুই দেশের মধ্যে অন্তত ২৫টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
তিস্তাকে বাঁচাতে বাংলাদেশ অনেক দিন ধরেই ভারতের সাথে চুক্তি করতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ অনেক বেশি থাকলেও ভারত নানা অজুহাতে তা এড়িয়ে গেছে।
সর্বশেষ ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধামন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফরকালে দুদেশের মধ্যে চুক্তির বিষয়ে মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এই চুক্তির বিরোধিতা করেন। এমনকি নরেন্দ্র মোদির সরকারও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার চুক্তির বিষয়টি মেনে নেয়। কিন্তু মমতা মেনে নেননি।
২০১৫ সালে মোদির ঢাকার সফরকালে দু্ই দেশের স্থল সীমান্ত চুক্তির দলিল বিনিময়কালে মমতা ব্যানার্জী তার সফরসঙ্গী হয়েছিলেন। কিন্তু তিস্তা নদীর বণ্টন বিষয়ে তিনি নীরবতা পালন করেন।