প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে টাঙ্গাইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র হাফিজুর রহমান স্বপনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিও ছিলেন।
রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম সাক্ষরিত এক চিঠিতে এই বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৫ জুন প্যানেল মেয়র হাফিজুর রহমান শহরের আকুরটাকুর পাড়ায় একটি জমি পরিমাপকে কেন্দ্র করে ঐ জমির মালিকের জামাতার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। কথা বলার একপর্যায়ে তিনি তাঁকে বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও মানি না’। তাছাড়া তিনি নানা অশ্লীল কথা বলেন। তাঁর এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। অনেকেই তাঁকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ মজিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দেন, হাফিজুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা না হলে তিনি পদত্যাগ করবেন।
এর আগে গত ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটূক্তির কারণে হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় পৌর কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এ ছাড়া মুঠোফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় শহরের আকুরটাকুর পাড়ার প্রয়াত আশরাফ চৌধুরীর জামাতা মফিজুর রহমান টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফিজুর প্রথমে ছাত্রদল ও পরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৪ সালের জুন মাসে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। যোগদানের পরই তিনি প্রথমে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পরে সহসভাপতি পদ পান। তিনি টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে পরপর চারবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। সর্বশেষ গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পান।