স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের তিনটি শর্তের মধ্যে ২টি বাংলাদেশ পূরণ করেছে। জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, ২০১৮ সালের মধ্যে অন্য শর্তটি পূরণ করে মধ্যম আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এ অগ্রগতি ধরে রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি আর্থিক শৃংখলা রক্ষার তাগিদ দিয়েছে সংসদে বিরোধীদল জাতীয় পার্টি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো কাছে আমরা হাত পেতে চলতে চাই না। আত্ম-মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে চাই। সেজন্য দেশবাসীর সহোযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। আজকে আমরা যতটুকু অর্জন করেছি তার জন্য বাধা এসেছে। জ্বালাও, পোড়াও, খুন অনেক কিছুই চলেছে। আজকে যদি আমরা সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারতাম, তাহলে লক্ষ্য মাত্রার ৭ ভাগ জিডিপি অর্জন করা সম্ভব ছিলো।
তিনি বলেন, এই অর্জন আমার একার অর্জন না। এটা আমাদের সম্মিলিত অর্জন। এ অর্জন বাংলাদেশের জনগণের অর্জন। এ অর্জন দেশবাসীর অর্জন। তাই দেশবাসীরই এ ধন্যবাদ প্রাপ্য।
গত ৪০ বছর নিম্ন আয়ের দেশ ছিলো বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী এ বছর মিলেছে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি। এ অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংসদে ধন্যবাদ দেওয়ার প্রস্তাব আনেন সাবেক খাদ্য মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
এ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অর্থমন্ত্রী জানান, মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের পথেও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
অর্থমন্ত্রী জানান, মধ্যম আয়ের দেশ হতে মাথাপিছু জাতীয় আয় প্রয়োজন ১২৪২ মার্কিন ডলার। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে এখন তা ১৩১৪ মার্কিন ডলার। অর্থনৈতিক ঝুঁকিগ্রস্ততার মান দরকার ২৫.১, যা ইতোমধ্যেই অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আর মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রায় ৬৬ পয়েন্ট দরকার হলেও বাংলাদেশের আছে ৬৩.৮ পয়েন্ট।
এ অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ তাগিদ দেন তিনটি শর্ত পূরণের।
এর আগে রপ্তানি আয় বাড়াতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বিল ২০১৫ পাস হয় সংসদে।