উইকেটে হালকা টার্ন আছে। তবে সেটা বিপজ্জনক নয়। সাকিব-মুশফিকও বিপজ্জনক কোন কাজ করেননি। তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টা অক্ষত থেকে কাটিয়ে দিয়েছেন। এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭৫। প্রথম সেশনের বিরতি পর্যন্ত ৬৩ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে যে ঝড় উঠেছিল তাতেই অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ২ উইকেটে দিন শেষ করার অপেক্ষায় থাকতে থাকতে চোখের পলকে ৫ উইকেট চলে যায়। রান ছিল ২১৪। সেখান থেকে শুক্রবার সকালে লড়াই শুরু করেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম।
বৃহস্পতিবার দিনের সম্ভাব্য খেলা তখন ৩ ওভারের মতো বাকি ছিল। সান্দাকানের নিচু হয়ে আসা এক শর্ট বলে ব্যাকফুটে খেলতে যান ইমরুল। বল ব্যাটে আসতে অনেকটা সময় নেয়। তবু তিনি লাইন ধরতে ব্যর্থ হন। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল পায়ে লাগে। আবেদন ওঠে। আম্পায়ার তর্জনী উঁচু করেন চোখের পলকে।
ঠিক পরের বলে তাইজুলের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদন তোলে শ্রীলঙ্কা। আম্পায়ার এবার সাড়া না দিলেও রিভিউতে কপাল পোড়ে তাইজুলের (০)। পরের ওভারের চতুর্থ বলে সাব্বির রহমানের বিদায় (৪২)!
অথচ শুরুটা ছিল অন্যরকম। সৌম্য-তামিম ৯৫ রানের জুটি গড়ে দলকে পথে রাখেন। এরপর ইমরুলকে নিয়ে সৌম্য ৩৫ রানের জুটি গড়েন। সৌম্য ফেরার পরই ‘তাসের ঘর’ হয়ে যায় বাংলাদেশ। ওঠে ২০ মিনিটের ঝড়।