এশিয়ার ক্রিকেট শ্রেষ্ঠত্বের নির্ণায়ক মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক তরুণেরই। তাদের একজন মেহেদী হাসান মিরাজ। এ অফস্পিনার মুখিয়ে আছেন বড় মঞ্চে পারফর্ম করার চ্যালেঞ্জ নিতে।
দরজায় কড়া নাড়ছে এশিয়া কাপ। ১৫ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবে ছয় দেশের আসর। শিরোপার মনচ্ছবি নিয়ে মিরপুরে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন ক্যাম্প।
মঙ্গলবার ফিল্ডিং সেশন শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে মিরাজ জানালেন এশিয়া কাপ ঘিরে ব্যক্তিগত রোমাঞ্চ, লক্ষ্য ও চ্যালেঞ্জের কথা।
‘দলের প্রয়োজনে যখন যেটা করতে হবে সেটা করাই আমার লক্ষ্য। দলের প্রয়োজনে পাওয়ার-প্লে’তে বোলিং করতে হলে কীভাবে ব্যাটসম্যানকে রান করা থেকে থামিয়ে রাখব, উইকেট আদায় করতে পারব; মিডল ওভারে কীভাবে বল করব, এইভাবে পরিকল্পনা করেই বল করি। এছাড়া ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য নেই। এটা করব বা সেটা করব, এমন কোনো চিন্তা নেই। বাড়তি কোনো চাপ নিতে চাই না। দলের চাহিদা অনুযায়ী পারফর্ম করে যেতে চাই।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মিরাজের পথচলা শুরু ২০১৬ সালে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। ওই বছরই বাংলাদেশের মাটিতে হয় এশিয়া কাপ। কাছাকাছি সময়ে ভারতে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় ফরম্যাট বদলে যায়, ওয়ানডের জায়গায় হয় টি-টুয়েন্টির আসর। মিরাজ তখন শুধুই টেস্ট ক্রিকেটার। ধীরে ধীরে অবশ্য তিন ফরম্যাটেই দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠছেন প্রতিভাবান এ তরুণ।
আরব আমিরাতের কন্ডিশন অচেনা নয় মিরাজের কাছে। সেখানে ২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিল এ অলরাউন্ডারের। অভিজ্ঞতা কখনো কখনো প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেয়। সেটি অনুধাবন করেই সামনের অ্যাসাইনমেন্টে সফল হতে চান মিরাজ।
‘এটা আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। জাতীয় দলের হয়ে আমি এশিয়া কাপ খেলিনি। লক্ষ্য থাকবে ভালো কিছু করার। এশিয়া কাপ যেহেতু আরব আমিরাতে, যদি সুযোগ পাই অবশ্যই শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করব। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছি ওখানে, উইকেট সম্পর্কে একটু হলেও ধারনা আছে। সব ঠিক থাকলে ভালো করার চেষ্টা করব।’