চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

প্রথমার্ধকে দুর্ভেদ্য বললেন ম্যানসিটির জয়ের নায়ক

‘প্রথমার্ধ দুর্ভেদ্য ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের বেশ কয়েকটি সুযোগ ছিল এবং সেটা ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছি। আমি দৌড়েছি এবং ফিল (ফোডেন) আমাকে দারুণভাবে খুঁজে পেয়েছে। আমার শান্ত থাকা দরকার ছিল এবং সৌভাগ্যক্রমে আমি তা পেরেছি।’

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয়ের পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন কেভিন ডি ব্রুইন।

অ্যাটলেটিকোর রক্ষণ ভাঙা যে মারাত্মক কঠিন ছিল, ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা ডি ব্রুইন সেটি অবলীলায় স্বীকার করেছেন। একইসঙ্গে জানিয়েছেন মাঠে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। প্রতিপক্ষ ৫-২-৩ ফরমেশনে খেলতে নামলেও বাস্তবতা নাকি ছিল ভিন্ন।

‘এটা আসলেই কঠিন। তারা রক্ষণে পাঁচজনের সঙ্গে এবং মধ্যমাঠে পাঁচজনের সঙ্গে খেলেছে। কেউ কোনো কিছু বললে আমি এটাই পরামর্শ দেই যে তারা অনুশীলনে যেন এমন পরিস্থিতির বিপক্ষে খেলার চেষ্টা করে।’

ঘরের মাঠ ইতিহাদেই জয় তুলতে ম্যানসিটিকে ঘাম ঝরাতে হয়েছে। অ্যাটলেটিকোর মাঠ ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে দ্বিতীয় লেগে আরও কঠিন কিছু অপেক্ষা করছে, তা মানছেন ডি ব্রুইন। স্কোরলাইন ১-০ হওয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন এই বেলজিয়ান ফুটবলার।

‘আমাদের সংযত থাকতে হবে এবং তাদের মতো অ্যাকশনে যাওয়ার দরকার নেই। তারা যেমন খেলার তেমনই খেলবে। একশূন্য মানে একশূন্যই। আমি সেখানেও একইরকম (স্কোরলাইন) আশা করছি। খেলাটা যদি সেয়ানে সেয়ানে হয়, সেক্ষেত্রে তাদের একটু বেশি আক্রমণ করতে হবে।’

অন্যদিকে ম্যাচ শেষে ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা দলের খেলোয়াড়দের প্রশংসায় বলেন, ‘যাদের মুখোমুখি হওয়া কঠিন আমরা তাদের সঙ্গে অবিশ্বাস্যভাবে সেরা দলের মতো খেলেছি। এটা ভালো ফলাফল ছিল।’

ডি ব্রুইনের মতো একই সুরে কথা বললেন গার্দিওলা। তারও অভিমত, দ্বিতীয় লেগ মোটেও সহজ হবে না। ‘এই টুর্নামেন্টে অনেক অভিজ্ঞতা আছে এমন একটি দলের মুখোমুখি হওয়া সহজ নয়। আমরা গোল করতে সেখানে (ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানো) যাব এবং জেতার চেষ্টা করবো।’

জমাট রক্ষণে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখার কৌশলে ৭০ মিনিট পর্যন্ত জাল অক্ষত রাখতে পেরেছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। পরে অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি। বিস্ময়করভাবে অ্যাটলেটিকো গোটা ম্যাচে একটি শটও নিতে পারেনি। দলের এমন পারফরম্যান্সে তাই অসন্তুষ্ট কোচ ডিয়েগো সিমিওনে।

‘আমরা প্রথমার্ধে যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে খেলতে পারিনি। আমরা স্বরূপে আসতে পারিনি। বিরতির পর কিছুটা ভালো ছিল। তবে সিটি বিশ্বের সেরা দল। তারা সাম্প্রতিককালে ঘরের মাঠে অনেক গোল করেছে।’

প্রথম লেগের পরের সময়টাকে হাফটাইমের সঙ্গে তুলনা করে সিমিওনের ভাষ্য, ‘দেখা যাক মাদ্রিদে দ্বিতীয় (লেগ) খেলা কেমন হয়।’