চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রথমবারের মতো বিজিবিতে নারী

পুরুষের পাশাপাশি আগামীতে বাংলাদেশের সীমান্ত পাহারা দেবেন নারীরা। দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৩১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সৈনিক পদে নারীদেরও নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

সীমান্ত পাহারার সঙ্গে নারী এবং শিশু পাচার বন্ধে নারী সদস্যরা বিশেষ ভূমিকা রাখবেন বলে আশাবাদী বিজিবির মহাপরিচালক।

যাত্রা শুরু রামগড় ব্যাটালিয়ন হিসেবে। পাকিস্তান আমলে নাম ছিলো ইপিআর। মুক্তিযুদ্ধে গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা ছিলো রাইফেলস সদস্যদের। স্বাধীন দেশে নাম হয় বাংলাদেশ রাইফেলস, বিডিআর।

২০০৯ সালে পিলখানা ট্যাজেডির পর নতুন নাম হয় বিজিবি বা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। তবে দেশের সব আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীতে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ থাকলেও এই বাহিনীতে ছিলো না।

সামনে ৮৮তম ব্যাচে সৈনিক পদে নারী সদস্যও নিচ্ছে বিজিবি। যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্তে আশাবাদী বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।

তিনি জানান, যে সব অঞ্চলের সীমান্তে মহিলা দ্বারা চোরাচালান করা হয় তাদের রোধ করতেই নারী সদস্য নিয়োগ করা হবে। শুধু চেকপোস্ট নয়, আগামীতে দেশের সব সীমান্তে নারী সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিজিবি।

নারী সদস্যদের নিয়ে আলাদা ব্যাটালিয়ন করার কথাও জানালেন বিজিবি মহাপরিচালক।

ভারত অনেক আগেই সীমান্তে নারী সদস্যদের নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশের নারী সীমান্তরক্ষীদের শতভাগ নিরাপত্তা এবং আবাসন সুবিধা দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজিবি।