জাতীয় ক্রিকেট লিগ দিয়ে সোমবার ঘরোয়ার নতুন মৌসুম শুরু হল বাংলাদেশের। শুরুর দিনে চারটি মাঠে নেমেছে আট দলই। সেঞ্চুরি দিয়ে শুরু করেছেন ঘরোয়ায় রানবন্যা ছোটানো তুষার ইমরান।
খুলনা-রাজশাহী
রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে টায়ার-১ এর ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় খুলনা বিভাগ। নেমে অবশ্য ৫২.৩ ওভারে গুটিয়ে যায় ২১০ রানেই। তুষার ১৪ চার ও ২ ছয়ে ১৪৪ বলে ১০৪ রান করেছেন।
রাজশাহী বিভাগের হয়ে শফিউল ইসলাম ৪৩ রানে ৫টি, দেলোয়ার ও সানজামুল নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
পরে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ১ উইকেটে ১২২ রানে দিন শেষ করেছে। নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৬ রানে ফিরেছেন। ৭৪ রানে পরের দিনের ব্যাটিং শুরু করবেন মিজানুর রহমান।
রংপুর-বরিশাল
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে টায়ার-১ এর আরেক ম্যাচে টস জিতে রংপুরকে ব্যাটে পাঠায় বরিশাল বিভাগ। ৫ উইকেটে ৩০০ রান তুলে দিন শেষ করেছে উত্তরবঙ্গের দলটি।
রংপুর বিভাগের হয়ে জাহিদ জাবেদ ৬২, নাঈম ইসলাম ৯২ রানে ফিরলেও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন আরিফুল হক। ১২ চার ও এক ছক্কায় ১৮১ বলে ১১৭ রানে অপরাজিত আছেন এ অলরাউন্ডার।
বরিশালের হয়ে সোহাগ গাজী নিয়েছেন ২টি উইকেট।
ঢাকা মেট্রো-সিলেট
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টায়ার-২ এর ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রানবন্যার শুরু করেছে সিলেট বিভাগ। ৪ উইকেটে ৩৩২ রান তুলে দিন শেষ করেছে দলটি।
উদ্বোধনীতে সৈকতকে(৪২) নিয়ে ১১২ রানের জুটি গড়া সাদমান ইসলাম তুলে নিয়েছেন দেড়শ পেরোনো ইনিংস। ২০ ও ২ ছক্কায় ২৩৮ বলে ১৫৭ রানে ফিরেছেন সাদমান। মার্শাল আইয়ুব ফিরেছেন ৫০ রানে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টায়ার-২ এর আরেক ম্যাচে টস জিতে ঢাকা বিভাগকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চট্টগ্রাম বিভাগ। ঢাকা পরে ৮১ ওভারে ২৩৮ রান তুলে গুটিয়ে যায়। দিনশেষে ২৫ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে চট্টগ্রাম।
ঢাকার হয়ে রনি তালুকদার ৫৯, তাইবুর রহমান ৬৩ রান করেছেন।
চট্টগ্রামের হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন। ১৬ ওভারে ৬১ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তার। ৩ উইকেট নিয়েছেন আরেক স্পিনার নাঈম হাসান।
চট্টগ্রামের ব্যাটিংয়ে রানের খাতা না খুলেই ফিরেছেন মুমিনুল হক।