চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রত্যেক জেলখানায় কোর্টরুম রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

দেশের প্রতিটা জেলখানায় একটা করে কোর্টরুম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মামলার আসামিদের হাজিরার তারিখে জেলখানা থেকে আদালতে আনার ঝামেলা থেকে বাঁচতে নতুন এই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব অনুশাসন দেন। সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। সভায় ৬২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার পুনর্নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এই অনুশাসন দিয়েছেন।

এ সময় মোট ১৯ হাজার ৭৭৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার ২১ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটা জেলখানায় একটা করে কোর্টরুম রাখতে হবে। ফিজিক্যালি হাইকোর্টে না এনে যাতে ওখানে মামলা পরিচালনা করা যায়।

সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রতিটা জেলখানায় একটা করে কোর্টরুম রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে আসামীদের স্বশরীরে কোর্টে হাজির হতে না হয় সেজন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোর্ট রুম থেকে কোর্টের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, জেলখানা শাস্তির স্থান না করে পুনর্বাসনের স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এখানে তাঁতসহ নানা ধরনের উৎপাদনমুখী কাজ করা হবে। এখান থেকে যে আয় হবে কয়েদিদের মধ্যে তা থেকে ভাগ করে দেয়া হবে।

এছড়া প্রতিটি জেলখানায় একটা টেলিফোন বুথ থাকবে। যাতে করে কয়েদিরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন।

এছাড়া দ্বিতীয় নগর উন্নয়ন প্রকল্পভুক্ত নগর গুলোর জন্য একটি করে মাস্টারপ্ল্যান তৈরীরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নগরগুলোতে যাতে প্রকল্পের দ্বৈততা সৃষ্টি না হয়। সেজন্য মাস্টার প্ল্যান প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে একটি প্রকল্প সম্পর্কে বলতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখন থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতকালে অতিথি পাখি দেখতে গেলে দর্শনার্থীদের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করতে হবে। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বাড়বে। সেই সঙ্গে সেখানকার সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুমোদন দেয়া প্রকল্প সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আজকের (মঙ্গলবার) সভায় ২১টি (নতুন ও সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৯ হাজার ৭৭৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন করা হবে ১৭ হাজার ৩১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় করা হবে ২৩৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ২২৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম প্রমুখ।