‘বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতি সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবো না। কিন্তু কেউ যদি আক্রমণ করতে আসে তার সমুচিত জবাব যেন আমরা দিতে পারি, সেটাই আমরা নিশ্চিত করছি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সাহসী উচ্চারণের মধ্য দিয়ে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হলো আধুনিক দুই সাবমেরিন (ডুবো যুদ্ধজাহাজ) ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’। প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য অনুসারে এই দিনটি শুধু বাংলাদেশ নৌবাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নয়, সমগ্র বাংলাদেশের জন্য এটি এক বিশেষ দিন। বিষয়টি নিয়ে কারো দ্বিমত আছে বলে মনে হয় না। নদী ও সমুদ্রবেষ্টিত বাংলাদেশের জন্য বহুল কাঙ্খিত এই সাবমেরিন। ভারত-মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত ঐতিহাসিক মামলা জয়ের পরের প্রেক্ষাপটে এই ধরণের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেশের সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় এক বিরাট মাইলফলক। বিশ্বের গুটিকয়েক দেশের সশস্ত্রবাহিনীতে সাবমেরিন রয়েছে, সে কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি হতে পারাটা নি:সন্দেহে গর্বের। আগামীতে বিশ্বের বিভিন্ন সামরিক সক্ষমতা সূচকে সশস্ত্র বাহিনী তথা বাংলাদেশের নাম বিশেষভাবে উচ্চারিত হবে বলে আমাদের ধারণা। ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশের যে অবস্থানগত গুরুত্ব রয়েছে, তা আরও বাড়িয়ে দিতে সরকারের এই দূরদর্শী পদক্ষেপ অবশ্যই প্রশংসনীয়। স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এই অগ্রসর যাত্রা অব্যাহত থাকুক, এই আমাদের প্রত্যাশা।