‘আমার কাছে প্রতিবছর এই উৎসব আয়োজন করাটাই একটা যুদ্ধ।’-ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কিছুটা আক্ষেপের সুরে কথাটি বলছিলেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।
শনিবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে পর্দা উঠলো ৯ দিনব্যাপী অষ্টাদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। উৎসব উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুল মোমেন, এমপি।
‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’- স্লোগানকে উপজীব্য করে শুরু হওয়া এবারের চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
অতিথিরা বলেন, বাংলাদেশের রুচিগত মানের প্রতিনিধিত্ব করে এই চলচ্চিত্র উৎসব। গুণগত মান বিচারে এটিকে এশিয়ার অন্যতম চলচ্চিত্র উৎসব বলেও বক্তৃতায় উল্লেখ করেন তারা। দেশে রুচিসম্পন্ন ও ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ব্যাপক অবদান রাখছে।
শোভনের (আহমেদ মুজতবা জামাল) একার সংগ্রামে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবটি প্রতি বছর চলছে বলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে দেখানো হয় চলচ্চিত্র ‘উইন্ডো টু দ্য সি’। স্পেন ও গ্রীসের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল জিমেনেজ।
রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে বরাবরের মতোই এবারের উৎসবেও এশিয়ান ফিল্ম প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, সিনেমা অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন ফিল্মস্, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম মেকার বিভাগে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
৯ দিনে ৭৪টি দেশের ২২০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। ‘বাংলাদেশ প্যানারোমা’ বিভাগে দেখানো হচ্ছে মোট ৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এরমধ্যে উৎসবের শুরুর দিন সন্ধ্যায় দেখানো হয়েছে অরুণ চৌধুরীর আলোচিত ছবি ‘মায়াবতী’। এই ছবিটি ছাড়া বাকিগুলো হলো: এন রাশেদ চৌধুরী পরিচালিত মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবি ‘চন্দ্রাবতী কথা’, আশরাফ শিশিরের বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র ‘আমরা একটি সিনেমা বানাবো’, প্রদীপ ঘোষের ‘শাটল ট্রেন’, ফরিদ আহমেদে ‘টিউনস অব নস্টালজিয়া’, মাসুদ পথিকের ‘মায়া’, প্রসুন রহমানের ‘নিগ্রহকাল’ এবং তানিম রহমান অংশুর ‘ন ডরাই’।