জাপানে সাগামিহারা শহরে প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে দুর্বৃত্তের হামলার ঘটনায় আত্মসমর্পণ করা ওই কেন্দ্রটিরই সাবেক কর্মচারী সাতোশি উমাৎসুর লেখা একটি চিঠি রাজনীতিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
গত ফেব্রুয়ারিতে লেখা ওই চিঠিতে প্রতিবন্ধীদের হত্যার হুমকি দেয় সাতোশি।
মঙ্গলবার কানাগাওয়া অঞ্চলে স্থানীয় সময় রাত তিনটায় হওয়া ওই হামলায় ছুরিকাঘাতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর।
জাপানে এ ধরণের হামলার ঘটনা খুবই বিরল। গত কয়েক দশকের মধ্যে এই হামলাটিই সবচেয়ে ভয়াবহ। হামলার পর ২৬ বছর বয়সী সাতোশি উমাৎসু কানাগাওয়ার সুকুই পুলিশ স্টেশনে নিজেই গাড়ি চালিয়ে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। নিজমুখে জানায়, নির্বিচার ছুরি হামলার পর আত্মসমর্পণ করেছে সে।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে সাতোশি জানিয়েছে, ‘প্রতিবন্ধীরা নিশ্চিহ্ণ হয়ে যাওয়াই ভালো।’ নিরীহ ও নির্দোষ মানুষের হত্যাকারী উমাৎসু মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তাকে দুই সপ্তাহের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করাও হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে চাকুরিচ্যুত করা হলে প্রতিবন্ধীদের হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠায় সে।
ব্যাগভর্তি নানা আকারের ছুরি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সুকুই ইয়াময়ুরি পুনর্বাস কেন্দ্রটিতে জানালা ভেঙ্গে ঢুকে পড়ে হত্যাকারী উমাৎসু। হত্যাকাণ্ড চালানোর সময় সাতোশি অনবরত টুইট করছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেসব ধারালো অস্ত্র ভর্তি ব্যাগ নিয়েই পুলিশের হাতে ধরা দেয় সাতোশি। এর মধ্যে বেশ কিছু অস্ত্রে রক্ত লেগে ছিল।
রক্তাক্ত অবস্থায় হত্যাকারী উমাৎসুর গাড়ি এবং ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে।