বছর তিনেক ধরে বিশ্বের নামিদামি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব বাজারেও সুপরিচিত একটি নাম ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’। তরুণ নির্মাতা আবদুল্লাহ সাদ নির্মিত ছবিটি ২৯ মার্চ (শুক্রবার) রাজধানীর বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে।
ছবির প্রযোজক শামসুর রহমান আলভি জানান, বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’র প্রতিদিন তিনটি করে শো চলবে। সকাল ১১টা ১০ মিনিট, বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টা ৫মিনিটে প্রদর্শন হবে।
তিনি জানান, আমরা বহুদিন ধরেই চেষ্টা করছিলাম দেশের প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি দিতে। অতঃপর সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে ২৯ মার্চ। এদিন বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ মুক্তি পাচ্ছে। ছবিটি দেখতে যারা উৎসুক হয়ে আছেন, তাদেরকে সিনেপ্লেক্সে এসেই ছবিটি দেখার আহ্বান জানান আলভি।
মাত্র একটি প্রেক্ষাগৃহে কেন মুক্তি পাচ্ছে ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’? এরআগে এমন প্রশ্নে চ্যানেল আই অনলাইনকে ছবির প্রযোজক জানিয়েছিলেন, আমরা বহু চেষ্টা করেছি। কিন্তু হল মালিকদের হয়তো আমরা কনভিন্স করতে পারিনি। প্রচার প্রচারণার জন্যও ইউনিক আইডিয়া বের করতে পারিনি। যার কারণে একটি প্রেক্ষাগৃহেই ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে।
মাত্র একটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আরো একটি কারণ জানিয়ে প্রযোজক বলেন, এখন পর্যন্ত যারা ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন তাদের বেশির ভাগই স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তারাই ছবিটি নিয়ে হাইপ তৈরী করছেন, আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কিন্তু ছবিটি নিয়ে আমরা গণমানুষের কাছে যেতে পারিনি, তাদের কাছে ছবিটির খবর পৌঁছুতে পারিনি। তাদের কাছে কীভাবে ছবিটির খবর পৌঁছে দেয়া যায় সেই আইডিয়াইতো এখনো করে উঠতে পারিনি। যে সব কারণে শুধুমাত্র সিনেপ্লেক্সে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে।
৯৪ মিনিট ব্যাপ্তির ছবি ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’। যে ছবিতে দেখানো হয়েছে শেয়ার বাজার ধসে স্বর্বস্ব খুঁইয়ে ঢাকা থেকে পালাবার পথ খুঁজে ফেরা এক আংশিক প্রতিবন্ধী যুবকের গল্প। যে নৈতিকতা ও আত্মরক্ষার মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার জটিল পরিস্থিতিতে পড়ে।
‘খেলনা ছবি’র ব্যানারে নির্মিত ছবিটি পরিচালনার পাশাপাশি গল্প ও চিত্রনাট্যও লিখেছেন আবদুল্লাহ মোহাম্মাদ সাদ। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোস্তফা মনোয়ার। এছাড়াও অভিনয় করেছেন তাসনোভা তামান্না, তানভির আহমেদ চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন, রনি সাজ্জাদ, শিমুল জয় ও উজ্জ্বল আফজাল।
২০১৬ সাল থেকে বিশ্বের নামকড়া চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শীত ও পুরস্কৃত হয়েছে ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’। সর্বশেষ ছবিটি দেখানো হয় বিশ্বের প্রাচীন ও গৌরবময় চলচ্চিত্র উৎসব লোকার্নোর ৭১তম আসরে।