চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রজাতন্ত্র দিবসে নাশকতা বানচাল, আটক ৫ জঙ্গি

প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের একটি বড় জঙ্গি হামলাকে রুখে দিয়েছে শ্রীনগর পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে নগরেরে একটি এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ ৫ জঙ্গিকে আটক করেছে পুলিশ।

আটকেরা হলেন আজিজ আহমেদ শেখ, উমর হামিদ শেখ, ইমতিয়াজ আহমেদ চিকলা, সাহিল ফারুক গজরি ও নাসির আহমেদ মির। তারা শ্রীনগরের হজরতবালের বাসিন্দা।

এসময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, ওয়াকি টকি, বিস্ফোরক লাগানো জ্যাকেট, বিপুল পরিমাণ জিলেটিন স্টিক, বল বিয়ারিং, ডিটোনেটর ও নাইট্রিক অ্যাসিডের বোতল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু গ্রেনেড হামলা নয়। উপত্যকায় বড়সড় নাশকতার ছক কষছিল জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদ।

শ্রীনগর পুলিশ জানায়, চলতি মাসের শুরুতে উপত্যকার হজরতবাল এলাকায় গ্রেনেড হামলা হয়। নভেম্বরে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ গেটেও একইরকম হামলার ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে শ্রীনগর পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও দুজনের খোঁজ পাওয়া যায়।

গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’ তুলে নিয়ে তাকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পর থেকে সেখানে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, সম্প্রতি তা একটু একটু করে তুলতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে সামনে এল বড় জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার কথা।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইন্টারনেট পরিষেবা ধীরে ধীরে ফেরানো হচ্ছে। পাশাপাশি আটক বহু বিরোধী নেতাদেরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা আবারও চালু করতে হবে। কেননা ইন্টারনেট পরিষেবা সকলের নৈতিক অধিকার। গত ১৬০ দিন ধরে সেখানে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট। সমস্ত রকমের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

বুধবারই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীকে সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অবন্তিপোরার বাসিন্দা জাহাঙ্গির প্যারেকে।

কয়েকদিন আগেই কাশ্মীরের ডোডা জেলায় এক সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে নিহত হন হারুন আব্বাস নামের এক জঙ্গি। তিনি হিজবুল মুজাহিদিনের হয়ে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন। ২০১৮ সালে বিজেপি নেতা অজিত পরিহার ও তার ভাই অজিতের হত্যাকাণ্ডে হারুনের জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল।