প্রথম পর্যায়ের ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে কক্সবাজারের উপকূলীয় ৩ উপজেলার ১৯ ইউনিয়নে চলছে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচারণা। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি চলছে পরস্পরবিরোধী প্রচারণাও। নির্বাচন আয়োজনে প্রশাসনের রয়েছে নানা প্রস্তুতি।
নির্বাচনী আমেজে মুখরিত তিন উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন। ইতিমধ্যে মহেশখালী ও টেকনাফে ঘটেছে কিছু সংঘর্ষ হানাহানির ঘটনা। তারপরও সময়কে কাজে লাগিয়ে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটাররা খুঁজছেন যোগ্য-সৎ প্রার্থী।
সাধারণ ভোটাররা বলছে, সৎ ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী তারা নির্বাচন করতে চান, যারা দেশের তথা এলাকার উন্নয়ন করতে পারে, এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচন তৃণমূলে নেতা নির্বাচনের সহায়ক বলে মত অনেকের।
মহেশখালীর মাতারবাড়ী আওয়ামী লীগ সভাপতি ছমি উদ্দিন বলেন অতীতে জাতীয় নির্বাচন ব্যতীত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমরা দলীয় প্রতীক দেখি নাই। এটি বিশ্বের কাছে একটা মডেল।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় এবং বিদ্রোহী উভয় প্রার্থীর আশাবাদ একই রকম। আওয়ামী লীগ প্রার্থী তারেক বিন ওসমান শরিফ আমরা একটি স্বচ্ছ ভোটের মাধ্যমে জনগণের ভোটের দ্বারা নির্বাচিত হতে চাই। জনগণ যাকে ভোট দিবে সেই নির্বাচিত হবে।
বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী এনায়ত উল্লাহ বাবুল বলেন, অতীতেও এখানে ভালো নির্বাচন হয়েছে। আমি আশা করি এবারো এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
এদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে নানা প্রস্তুতির কথা জানাচ্ছেন নির্বাচন কর্মকর্তা। কক্সবাজারের জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মেছবাহ উদ্দিন বলেন, ১৯ টি ইউনিয়নে নির্বাচনের জন্য আমরা সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এই ব্যাপারে আমরা সকলের কাছে সহযোগিতা পাচ্ছি ।
আগামী ২২ মার্চের নির্বাচনে কক্সবাজারের ১৯ ইউনিয়নে ১০৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ২২৬ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী ও ৯২৮ জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।