চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

প্রকৃতির শিক্ষা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করার তাগিদ

ছয় বছরে পড়লো প্রকৃতি ও জীবন। গত পাঁচ বছরে চ্যানেল আই’এ সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বহুমুখী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে এই ফাউন্ডেশন। জাগিয়ে তুলছে নীতি নির্ধারক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষার তাগিদ।

দেশের গভীর জঙ্গল থেকে সাগর নীচের প্রায় না দেখা প্রকৃতির দুর্লভ চিত্র চ্যানেল আইয়ের পর্দায় তুলে ধরার সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ। এভাবে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের কাজে দিনে দিনে যুক্ত হয় প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা, এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকাশনা, ডকুমেন্টারীর ডিভিডি, প্রকৃতি বার্তা পত্রিকার মতো নতুন নতুন কর্মসূচি। সচেতনতা বাড়াতে এসব কর্মসূচি বিভিন্ন মহলের ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি প্রান্তিক বনজীবী এবং শিক্ষা প্রতিষ্টানে ক্যাম্পেইনসহ বেড়েই চলেছে প্রকৃতি ও জীবনের কার্যক্রম।

চ্যানেল আইয়ের প্রকৃতি ও জীবন স্টুডিওতে কেক কেটে ছয় বছরে পদার্পণকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রকৃতি ও জীবন দল।

প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু স্মৃতিচারন করে বলেন, এই যাত্রা খুব সহজ ছিলনা । তিনি বলেন, “কঠিন রাস্তাটাকে সহজ করে এগিয়ে এসে আজকে আমরা ষষ্ঠ বর্ষে পড়লাম।

সফলতার পেছনে শুভাকাঙ্খিদের অবদান অনেক বেশি উল্লেখ করে মুকিত বলেন, আমার টিমের ব্যপারটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। টিমের সদস্যরা খুব যত্নের সাথে কাজ করেছে গত কয়েক বছর। বন বিভাগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর আমাদের নানা ধরনের সহযোগিতা করেছেন। সব মিলিয়ে আমি বলবো যে সহযোগিতার হাতটা অনেক বড় ছিলো।”

বিগত পাঁচ বছরের কার্যক্রমে মানুষের ভালবাসার পাশাপাশি মিলেছে সরকারি-বেসরকারী স্বীকৃতিও। এ কার্যক্রমের জন্য প্রথমে চ্যানেল আই, দ্বিতীয়বার প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন বঙ্গবন্ধু এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির পর এবার ব্যক্তিগত পর্যায়ে জাতীয় পরিবেশ পদক অর্জন করেছেন মুকিত মজুমদার বাবু। ডেইলিস্টার-এইচএসবিসি ক্লাইমেট চেঞ্জ এ্যাওয়ার্ডসহ মিলেছে বেসরকারি খাতের পুরস্কারও।

ভবিষ্যতের কার্যক্রম সম্পর্কে মুকিত মজুমদার বলেন, চ্যানেল আই’য়ের অনুষ্ঠানের পাশাপামি ফিল্ড ওয়ার্ক এবং রিসার্চ ওয়ার্কের কাজগুলো সামনে জোরেদার করতে হবে। সামনে অনেক কর্মসূচি আছে আমাদের।

প্রকৃতি ও জীবন অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তার কারণ সম্পর্কে মুকিত বলেন, বাংলাদেশের দর্শক এবং বাংলাদেশের বাইরে বাঙ্গালীরা সবাই এই অনুষ্ঠানটা মনোযোগ সহ দেখেন বলেই কিন্তু অনুষ্ঠানটা এতো জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

প্রকৃতির শিক্ষা স্কুল কলেজ, ইউনিভার্সিটির পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানান মুকিত। তিনি বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে যেতে হবে প্রকৃতির কাছে। আসলে প্রকৃতিকে কাছে থেকে না দেখলে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা জন্মায় না।

মুকিত মজুমদার মনে করেন, সবমহল আন্তরিক হলে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার তাগিদ জাগিয়ে তোলার কার্যক্রম আরো জোরদার হবে। পরিবেশবান্ধব দেশ গড়াও সহজ হবে।