প্রকাশ্যে এলো ‘শুনতে কি পাও!’ খ্যাত নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমনের মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবি ‘নীল মুকুট’-এর পোস্টার। ফুল আর পাতার ব্যাকগ্রাউন্ডে নীল স্কিমে পোস্টার জুড়ে একজন নারী মুখ। যার উজ্জ্বল আকুল দুটো চোখ এবং তার দৃষ্টি বহুদূর।
কামার আহমাদের চলচ্চিত্র মানেই বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে ছোটাছুটি। কিন্তু ‘নীল মুকুট’ নিয়ে ব্যতিক্রম নির্মাতা। আগেই জানিয়েছেন, এবার দেশের দর্শককে আগে ছবিটি দেখাতে চান। এরপর চলচ্চিত্র উৎসব!
কথা মতোই চলছে ‘নীল মুকুট’ মুক্তির প্রস্তুতি। এরইমধ্যে বিনা কর্তনে সেন্সর ছাড়পত্র ও পেয়েছে ‘নীল মুকুট’। ছবিটির মুক্তি নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে নির্মাতা বলেন, আপাতত সবকিছু গোছানোর কাজ চলছে। আমরা মুক্তির একটি সম্ভাব্য তারিখও ঠিক করে ফেলেছি। প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির পক্ষ থেকে অনুমতি পেলেই অফিশিয়ালি ‘নীল মুকুট’-এর মুক্তির তারিখ জানাতে পারবো।
কামার বলেন, মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত হওয়ার পরই আমরা এই ছবির টিজার ও ট্রেলার প্রকাশ করবো।
এদিকে ‘নীল মুকুট’-এর প্রশংসা করছেন অনেকে। চলচ্চিত্র গ্রুপেও এই পোস্টারটির প্রশংসা করতে দেখা যাচ্ছে। ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কামারের প্রথম ছবি ‘শুনতে কি পাও!’-এর পোস্টারের বিষয়টি তুলে ধরেও অনেকে প্রশংসা করছেন।
সে প্রসঙ্গ ধরেই কামার জানিয়েছেন, দেশে-বিদেশে অনেকেই ব্যক্তিগত আগ্রহে সংগ্রহ করেছিলেন ‘শুনতে কি পাও!’-এর পোস্টার। এখনো অনেকেই মেসেঞ্জারে জানতে চান কোথায় পাওয়া যেতে পারে সেই পোস্টার। এই কথা মাথায় রেখেই এইবার ‘নীল মুকুট’-এর পাবলিসিটি পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে প্রকাশনা সংস্থা বাতিঘর। এখন ঢাকাসহ, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বাতিঘর প্রকাশনায় পাওয়া যাবে ‘শুনতে কি পাও!’ এবং ‘নীল মুকুট’-এর পোস্টার।
কামারের ভাষায় ‘নীল মুকুট’ তার অপরিকল্পিত ছবি। এখন পর্যন্ত ছবির বিষয় নিয়ে কোথাও মুখ খোলেননি কামার। এর আগে শুধু জানিয়েছিলেন, প্লেনের ভেতর থেকে একটা কান্না শুনে এই ছবির আইডিয়া তার মাথায় আসে। লোকার্নোর ওপেন ডোর্সের শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার ও আর্তে ইন্টারন্যশনাল পুরষ্কার বিজয়ী কামারের জলত্রয়ীর দ্বিতীয় ছবি ‘অন্যদিন…’ আর বার্লিনালের ডব্লিউসিএফ বিজয়ী ছবি ‘শিকলবাহা’র ফাঁকে ফাঁকে শেষ করেছেন ‘নীল মুকুট’এর কাজ। ছবির পরিবেশনায় আছে ‘কোয়াইট অন সেট প্রোডাকশন’।
কামারের প্রথম ছবি ‘শুনতে কি পাও!’-মুম্বাই থেকে ‘স্বর্ণশঙ্খ’ আর প্যারিসে ‘গ্রাঁপ্রি’ জয় করার পর দেশে মুক্তি পেয়েও ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হইয়েছিল। জয় করে নিয়েছিলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার। এরপর চল্লিশটিরও বেশি উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল ‘শুনতে কি পাও!’ দশটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃতও হয়েছিল। কয়েক মাস আগেও প্রদর্শিত হয়েছে ফ্রাংকফুর্টের জার্মান ফিল্ম মিউজিয়ামে।