লাতিন অঞ্চল থেকে সবার আগে কাতার বিশ্বকাপে যাওয়া নিশ্চিত করা পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল প্যারাগুয়েকে হারিয়ে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। এই জয় হেক্সা শিরোপার পরিকল্পনায় থাকা সেলেসাওরা যে চেনা ছন্দে মেলে ধরার পথেই আছে, আরও একবার তা প্রমাণ করল।
বুধবার মিনেইরাও স্টেডিয়ামে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ৪-০ গোলের বড় জয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৩২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার নতুন রেকর্ড গড়ে সাম্বার দেশটি। এর আগে ১৯৫৪ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সময়ে সেলেসাওরা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত ছিল।
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ব্রাজিল ১৫ ম্যাচ খেলে পেয়েছে ৩৯ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ৩৫। পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে ২৭ পয়েন্ট পাওয়া ইকুয়েডর বিশ্বকাপে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে।
পুরো ম্যাচে প্যারাগুয়ের উপর স্বাগতিকরা রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছে। তারা ৭৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেছিল। শট নিয়েছে ২২টি, যার ভেতর লক্ষ্য বরাবর ছিল আটটি। প্যারাগুয়ে ছয়টির বেশি শট নিতেই পারেনি। লক্ষ্য বরাবর ছিল দুটি।
১৭ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের অ্যাসিস্টে বল নিয়ে রাফিনহা বাঁ পায়ে উঁচুতে শট নিলে জালের দেখা পাননি। যদিও গোল পেতে তাকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। খেলার ২৮ মিনিটে মার্কুইনোসের বাড়ানো বল আদায় করে বাঁ পায়ের দারুণ শটে তিনি ব্রাজিলকে লিড এনে দেন।
চার মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। ভিনিসিয়াসের পাসে বল নিয়ে অ্যালেক্স টেলেসের শট লক্ষ্যে থাকেনি। ৪১ মিনিটে ফিলিপে কৌতিনহোর হেড পোস্টের উঁচু দিয়ে বেরিয়ে যায়। বিরতির আগে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে থিয়াগো সিলভার হেড প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেন।
৪৯ মিনিটে রাফিনহা অল্পের জন্য পাননি দ্বিতীয় গোলের দেখা। তার নেয়া শট বারে লেগে ফিরে আসে। নয় মিনিট পর কৌতিনহোর শট ঠেকান গোলরক্ষক।
এরপর অবশ্য ব্রাজিলের আক্রমণ আর সামলাতে পারেনি প্যারাগুয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষের জালে আরও তিন গোল দেয় টিটের শিষ্যরা।
মারকুইনহোসের অ্যাসিস্টে বল পেয়ে দূরপাল্লার শটে ৬২ মিনিটে কৌতিনহো গোলের খাতা খোলেন। ৮৬ মিনিটে এভারটনের পাসে বল নিয়ে ডি বক্সের ডান প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ের শটে অ্যান্টনি নিশানাভেদ করে স্কোরলাইন করেন ৩-০।
শেষদিকে ৮৮ মিনিটের মাথায় ব্রুনো গুইমারায়েসের কাছ থেকে বল নিয়ে ডান পায়ের কিকে প্যারাগুয়ের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন রদ্রিগো।