বাংলাদেশে আসন্ন পৌর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের পরিবেশের জন্য মতৈক্যের পরিবেশ উন্মোচিত হচ্ছে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকা সফরে থাকা মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি থমাস এ. শ্যানন এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে দেশগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্যাটিজিক স্টাডিজ- বিস এর যৌথ আয়োজনে সেমিনার ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: বৈশ্বিক ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ’। মূল বক্তা ছিলেন সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতি বিষয়ে নতুন আন্ডার সেক্রেটারি থমাস এ. শ্যানন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি বাংলাদেশের যে প্রতিশ্রুতি আসন্ন পৌর নির্বাচন তা পুনর্নিশ্চিত করার একটি সুযোগ।
শ্যানন বলেন, আমেরিকা এখনও বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয়, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না। এটি এমন এক দেশ যার কথা পুরো পৃথিবী মনোযোগ দিয়ে শোনে, তা হোক শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন অথবা সন্ত্রাসবিরোধী বিষয়ে। আর বাংলাদেশীরা এই বিশ্বের সবচেয়ে সহিষ্ণু, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং উদ্যোগী মানুষদের মধ্যে অন্যতম।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ একত্রে কাজ করে অসাধারণ সব অর্জন লাভ করতে পারে যা বিগত চল্লিশ বছরের অভিজ্ঞতায় প্রতীয়মান বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামী চল্লিশ বছরও এর ব্যতিক্রম হবে না; কারণ আমাদের অংশীদারিত্বটি এমনই যার শক্তি, সহিষ্ণুতা এবং সম্ভাবনা সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়।’
বাংলাদেশ লিঙ্গসমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিপুল সাফল্য দেখিয়েছে উল্লেখ করে শ্যানন বলেন, ‘এর অনেকাংশই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের সাফল্যের অনেকখানিই অর্জিত হয়েছে নারীকে উন্নয়ন কর্মসূচিকে সামনে রেখে।’
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতিতে এবং বাণিজ্যিক শক্তিকেন্দ্রে পরিণত হতে পারে বলেও সুখবার্তা দেন তিনি।
বলেন, ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও অনেক দিন ধরে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মধ্যে মানুষ এবং পণ্য পরিবহণে কেন্দ্রীয় ভূমিকা রাখতে পারে।’
সহিংস চরমপন্থীদের বর্বরতা ও সন্ত্রাসের হুমকির মুখে উভয় দেশই (বাংলাদেশ ও আমেরিকা) একইভাবে অরক্ষিত এবং একে পরাজিত করতে আমরা একত্রে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে আবারও সিনেটর কেনেডিকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, এই যুদ্ধে “আমরা সকলে বাংলাদেশী, সকলে আমেরিকান এবং আমরা সকলে মানবিকতার বৃহত্তর জোটে আমরা সকলে জোটবদ্ধ।”
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন এ মার্কিন এ কূটনীতিক। এ সময় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার আশ্বাসের পাশাপাশি শ্যানন বলেন, বাংলাদেশকে তারা সমৃদ্ধ ও নিরাপদ দেখতে চান। কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেওয়ায় ঢাকার পুলিশকেও সাধুবাদ জানান তিনি।