পৌরসভা নির্বাচনে প্রায় ৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে দেশের রাজনীতি না পাল্টালে শুধু পুলিশ কিংবা বিজিবি পাহারায় ভোটকেন্দ্র দখল আর ব্যালট পেপার ছিনতাই ঠেকানো সম্ভব নয় বলেও মনে করছে ইসি।
প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক পরিচয়ে নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের হার ৭৩.৯২। নির্বাচন কমিশনের বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী ২৩৪ টি পৌরসভার মধ্যে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে ১৬৮টি পৌরসভায়, বিএনপি ১৯, জাতীয় পার্টি একটিতে আর স্বতন্ত্র কিংবা স্বতন্ত্র পরিচয়ে প্রধান দু’ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা ২৬টি পৌরসভায়। আংশিক বা পুরোপুরি নতুন করে ভোট হবে এমন পৌরসভার সংখ্যা ২০।
এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে যে তথ্য আছে তাতে শতকরা ভোটের হার ৭৩.৯৩। দুই একটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া দেশে উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই স্থানীয় নির্বাচনে জণগন ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। তারা তাদের আকাঙ্খিত ভোটটি দিয়েছে।
ভোটকেন্দ্র দখল আর ব্যালট পেপার ছিনতাই এর ঘটনা ঠেকাতে ইসি ব্যর্থ না সফল এমন প্রশ্ন ছিলো নির্বাচন কমিশনের কাছে। তিনি বলেন, রাজনীতি যখন স্বচ্ছ হবে এবং রাজনীতি যখন গণমানুষের ভিত্তির উপরে নির্ভরশীল হবে। আমি মনে করি সে নির্বাচনগুলো আরো বেশী স্বচ্ছ হবে।
নির্বাচিত ২১৪ জন মেয়রের মধ্যে নাটোর সদর, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, নারায়ণগঞ্জের তারাবো এবং রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভায় বিজয়ী হয়েছেন চার নারী প্রার্থী।