নারায়ণগঞ্জে এক পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যার অপরাধে তিন আসামীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার দীর্ঘ ১০ বছর পর এই রায় দেওয়া হলো।
সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো: জুয়েল রানা এই আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলো- নাসির উদ্দিন বিটল, খোকন মিয়া ও ছফুন মিয়া।
এ মামলায় চার আসামী বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তারা হলেন- ছালে আহাম্মদ, হাসান কবির মেম্বর, আব্দুল আজিজ ও মো. মিজান।
মামলার বাদি রাজা মিয়া জানান: ২০০৮ সালের ১১ মার্চ রাতে তার মেয়ে আসমা বেগম নারায়ণগঞ্জ থেকে গার্মেন্টস কাজ শেষে শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর খেয়া পাড় হয়ে বাসায় ফেরার পথে অপহরণ হয়। পরদিন বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা এলাকায় একটি ঝোঁপ জঙ্গল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আসমার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় তিনি সাতজনকে আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।
চার আসামী বেকসুর খালাস পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত আসমা বেগমের বাবা রাজা মিয়া ও মা উম্মে হানি। ন্যায়বিচার পাননি দাবি করে তারা জানান, তারা সব আসামীর মৃত্যুদণ্ড আশা করেছিলেন। দশ বছর ধরে তারা ন্যায় বিচারের আশায় ছিলেন। চারজন আসামী খালাস পেয়ে যাওয়ায় তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন বলে জানান তারা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিব উদ্দিন জানান, মামলার তদন্তে ২৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। এর মধ্যে ১৪ জন আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষী দেয়।
‘‘এতে প্রমাণ হয় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী নাসির উদ্দিন বিটল, খোকন মিয়া ও সফুন মিয়া আসমা বেগমকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করার পর হত্যা করে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনেও ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধকরে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে।’’