বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে একতরফা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড। সংস্থাটির স্বেচ্ছাচারিতায় নানা অজুহাতে পোশাক কারখানায় সতর্কবার্তা দিচ্ছে। এতে পোশাক রপ্তানি কমছে এবং শ্রমিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এমন অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পোশাক কারখানার অগ্নিনিরাপত্তা’ নিয়ে এক কর্মশালা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি। সেসময় অ্যাকর্ডের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
রুবানা হক বলেন, অ্যাকর্ড ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছে। তখন থেকেই ইলেকট্রিক্যাল কন্ডিশন, বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় অ্যাকর্ড যেসব শর্ত দিয়েছিল, সব শর্ত মেনে আমরা কাজ করেছি। তারা এতে খুব বেশি আপত্তি করেনি। কিন্তু কারখানার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে তারা একের পর এক শর্ত আরোপ করছে। তারা আগের দেওয়া শর্ত থেকে সরে গিয়ে ২০১৭-১৮ তে একের পর এক নতুন শর্ত আরোপ করেছে।
‘‘তাদের (অ্যাকর্ড) সঙ্গে আমাদের নতুন করে হওয়া চুক্তিতে একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু তারা কোনো আলোচনা ছাড়াই নতুন নতুন শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। বিজিএমইএর অজান্তেই গঠন করা হয়েছে অ্যাকর্ডের প্রোটোকল। এছাড়া অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়ে অ্যাকর্ড কারখানাগুলোর ওপর নতুন নতুন শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে।
বিগত ৬ বছরে অ্যাকর্ড ১ হাজার ৬শ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২শ প্রতিষ্ঠানকে পরিদর্শন সনদ দিয়েছে। গত ৮ মে থেকে তারা সময় বাড়িয়ে ২৮১ দিনের সময় নিয়েছে ১ হাজার ৪শ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে। এটা কীভাবে সম্ভব?”
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিজিএমইএর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছাড়াই ৪শ কারখানাকে সতর্ক করেছে অ্যাকর্ড। এসব কারখানার নকশা, বিল্ডিং সেফটি, ফায়ার সেফটির পরও টেস্টিংয়ে ফেল দেখানো হচ্ছে। এ কারণে পোশাক রপ্তানির আদেশ ও কারখানার ব্যবসা কমছে। অন্যদিকে শ্রমিকরাও চাকরি হারাচ্ছেন।
রুবানা হক বলেন, বাংলাদেশে কাজ শুরুর পর যে কাজটি তাদের (অ্যাকর্ড) ৫ বছর আগে শেষ করার কথা ছিল, সেটি এখনো তারা করছে, যা পোশাক খাতের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অ্যাকর্ডের এসব একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া বন্ধ করতে হবে।