কামরুল ইসলাম রাব্বি, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন এবং শুভাশিস রায়- এই তিনজনই নিউজিল্যান্ডের আগের সফরের দলে ছিলেন। চোট আর পারফরম্যান্সের কারণে এবার তাদের কেউই নেই। ফলে অনভিজ্ঞ পেস আক্রমণ নিয়ে খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশকে এবং আগেরবারের মতো ভোগান্তির ছবিটা এবারও একই। বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ এ অনভিজ্ঞ পেস আক্রমণ নিয়ে খেলাতেই বড় সমস্যা হিসেবে দেখছেন। তবে পেসারদের উপর ভরসা রাখারও পরামর্শ তার।
ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১২ টেস্টে খেলেছেন মোস্তাফিজ। আর হ্যামিল্টন টেস্টে খেলা তিন পেসার মিলে খেলেছেন কেবল পাঁচ টেস্ট। আবু জায়েদ রাহী তার চতুর্থ টেস্টে খেলেছেন। খালেদ আহমেদ খেলেছেন দ্বিতীয় টেস্ট। সেখানে হ্যামিল্টনেই অভিষেক হয়েছে ইবাদত হোসেনের।
প্রথম টেস্টে অনভিজ্ঞ এ তিন পেসার মিলে পেয়েছেন কেবল ১ উইকেট। দেশে খেলা হলে স্পিনাররাই নেন মূল ভূমিকা। উপমহাদেশের বাইরে স্পিনারদের সে সুযোগ ছিল না। পেসাররাও ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে স্বাগতিকরা রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছে।
পেসাদের একরকম স্বর্গেও কেন বোলাররা ব্যর্থ? পেস বোলিং কোচ হিসেবে এমন প্রশ্নের উত্তরটা চাওয়া হয়েছিল ওয়ালশের কাছে। ক্যারিবীয় কিংবদন্তির উত্তর, ‘পেসারদের ধারাবাহিক সুযোগ দিতে হবে। যদি আপনি এখানে এক টেস্ট, আরো কিছুদিন পর অন্যখানে আরেক টেস্ট খেলেন, তাহলে উন্নতি করতে পারবেন না। এক বা দুই টেস্ট ম্যাচ পর্যাপ্ত না।’
এসব কন্ডিশনে ভালো করতে ধারাবাহিকভাবে তিন, চারজনকে খেলিয়ে যাওয়ার পরামর্শ ওয়ালশের, ‘নিউজিল্যান্ডে আগের সফরেও আমাদের নতুন বোলিং আক্রমণ ছিল, এবারও তাই। এখানে কোনো ধারাবাহিকতা নেই। আমাদের এমন তিন বা চারজনকে নিতে হবে যারা ধারাবাহিকভাবে খেলবে, তাদের উপর লগ্নি করতে হবে, ভরসা করতে হবে।’
হ্যামিল্টন টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২৩৪ রান। জবাবে ৭১৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৪২৯ রানে অলআউট হলে একদিন হাতে রেখে, ইনিংস ও ৫১ রানে জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ৮ মার্চ, ওয়েলিংটনে। সেখানে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছে বাংলাদেশ।