‘পেদ্রির চেয়ে প্রতিভাধর পৃথিবীতে আর নেই। আমাদের তার যত্ন নিতে হবে। তার বয়স মাত্র ১৯! সে আসলেই অসাধারণ। কী দারুণভাবে বাঁক নেয়। স্থান-সময় সম্পর্কে সচেতন। দুই পা ব্যবহার করে। তাকে দলে পাওয়া বিস্ময়কর এবং আমাদের অবশ্যই তার যত্ন নেয়া উচিৎ।’
রোববার রাতে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৪-১ গোলের দুর্দান্ত জয়ের পর তরুণ সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার পেদ্রি গঞ্জালেসকে এভাবেই প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ।
পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংয়ের হ্যাটট্রিক বড় জয়ে রেখেছে মূল ভূমিকা। বদলি নামা পেদ্রির পারফরম্যান্সও জাভির মন কেড়েছে।
যোগ করা সময়সহ ৩৫ মিনিট খেলে পেদ্রি দেখিয়েছেন ঝলক। বলে পা ছুঁয়েছেন ৪০ বার, ড্রিবলিং করেছেন দুইবার। প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকাতে বল দুবার বিপদমুক্ত করার পাশাপাশি পাঁচবার বল কাড়ার লড়াইয়ে হন সফল।
অবামেয়াংয়ের হ্যাটট্রিকের রাতে একটি গোল করেছেন ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং। খেলার ৬০ মিনিটে তার বদলি হিসেবে পেদ্রিকে নামান জাভি। মিনিট তিনেক পরই পেদ্রির দারুণ ক্রসে বল পেয়ে দূরপাল্লার শটে অবামেয়াং পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক।
চোটে মাঠের বাইরে ছিলেন পেদ্রি। লম্বা সময় পর জানুয়ারিতে হয়েছে প্রত্যাবর্তন। ইনজুরি থেকে ফিরেই পারফর্ম করাটা সহজ নয়। পেদ্রি তবুও বল পায়ে পেয়েই যেন হয়ে উঠছিলেন অপ্রতিরোধ্য।
জাভির ভাষ্যে, ‘সে আধা ঘণ্টার জন্য এসেছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সে মোটেও সাধারণ খেলোয়াড় নয়। তার মতো খুব কমই আছে।’
জাভি এবং ইনিয়েস্তা জার্সি তুলে রাখার পর কাতালান ক্লাবটিতে মিডফিল্ড আইকনের অভাবটা ভালোই টের পাওয়া গেছে। বার্সেলোনা তাই অমিত প্রতিভাবান পেদ্রির যত্ন নিয়ে গোল্ডেন বয় হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।