পেঁয়াজের দাম আজ ২০ টাকা বাড়লো তো কাল ১০ টাকা কমলো, এভাবেই শেয়ার বাজারের মতো প্রতিদিনই ওঠানামা করছে। গত তিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা দাম বাড়ার পর রোববার ৩০ টাকা কমেছে। এদিন পেঁয়াজের কেজি ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মগবাজার, কাঁঠালবাগানসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে দামের এই চিত্র পাওয়া গেছে।
কারওয়ান বাজারে রোববার সকালে দেখা গেছে, দেশি প্রতিকেজি পেঁয়াজ খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা। কিন্তু শনিবার এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৭০-১৮০ টাকা।
তবে পাড়া-মহল্লার বাজারগুলোতে তুলনামূলক দাম একটু বেশি। মগবাজার ও কাঁঠালবাগানে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অপুষ্ট পেঁয়াজ তুলে বিক্রি করার কারণে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি ও তীব্র শীতের কারণে চাষীরা পেঁয়াজ তুলতে পারছে না। এসব কারণে দাম বেড়েছে। এখন বাজারে আবার পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে। এই জন্য আজ দামও কমছে।
রাজধানীর নাখালপাড়া থেকে কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে আসা মনির হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা বেড়ে ২০ টাকা কমে। একেকদিন একেক দর দেখা যায়। এতে বাস্তবিকপক্ষে ধীরে ধীরে দাম বাড়ে, কমে না।
তিনি বলেন, দাম কমাতে সরকার উদ্যোগ না নিলে গরীব মানুষের পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দেয়া ছাড়া উপায় নেই।
কারওয়ান বাজারের পাকা মার্কেটের বিক্রেতা আবুল কাশেম বলেন, ‘গতকাল শনিবারে ১৭০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি করছি। পাইকাররা দাম বাড়ালে আমাদেরও বাড়াতে হয়।’
তিনি বলেন, বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। তবে পরিমাণে কম আসছে। কারণ দাম বেশি থাকার কারণে কৃষকেরা অপরিণত অবস্থায় পেঁয়াজ বিক্রি করে ফেলেছে। এ কারণে পেঁয়াজের পরিমাণ কমে গেছে। কিন্তু হঠাৎ করে সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম কমে যায়।
স্বদেশ বাণিজ্যালয়ের বিক্রেতা সোহেল বলেন, ‘গত শুক্রবার ১৫০ টাকা বিক্রি করেছি। এরপর শনিবারে দাম বাড়ার কারণে ১৭০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু আজ দাম কমেছে। তাই ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি করছি। তবে দাম বাড়াকমা নির্ভর করে পেঁয়াজের সরবরাহের ওপর।’
তবে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের পরিমাণ বেশি দেখা যায়নি। অল্পসংখ্যক বিক্রেতার কাছে চায়না ও তুরস্কের পেঁয়াজ দেখা গেছে। দেশি পেঁয়াজের সাথে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও কিছুটা কমেছে। চায়না পেঁয়াজ ৫৫ টাকা আর তুরস্কের পেঁয়াজ ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর গত ২ সপ্তাহে দাম কিছুটা কমেছিল কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই আবারও অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করেছে মসলা জাতীয় এই পণ্যটির দাম। গত ৩ দিনেই কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৭০-৮০ টাকা। এরপর আজ ২০-৩০ কমেছে।