বাংলা গানে নতুন ধারার প্রবর্তক বলা হয় সংগীতপরিচালক, গীতিকার ও সুরকার সলিল চৌধুরীকে। গানের এই কিংবদন্তির জন্মদিন মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর)। আধুনিক বাংলা গানের সুরস্রষ্টা ও গণসংগীত প্রণেতা সলিল চৌধুরী ১৯২৩ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন ভারতের আসামে।
বিংশ শতাব্দির চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশক জুড়ে সলিল চৌধুরী ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। বাংলা ও হিন্দি ভাষায় উপহার দিয়েছেন ইতিহাস সৃষ্টিকারী সব কালজয়ী গান।
যাক যা গেছে তা যাক, যারে উড়ে যারে পাখি, সাত ভাই চম্পা জাগরে জাগরে, যারে উড়ে যারে পাখি, আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম এবং ও মোর ময়না গো’র মতো বিখ্যাত সব বাংলা গানের রচয়িতা সলিল চৌধুরী। আধুনিক বাংলা গানের এই সুরস্রষ্টা গণসংগীতের প্রণেতা হিসেবেও স্মরণীয়। বাংলা গান ছাড়াও তিনি হিন্দি ও মালায়ালাম ভাষার ছবিতেও সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।
১৯ নভেম্বর এই কিংবদন্তির জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মতো গানে গানে তাঁকে স্মরণ করবে প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদের সংগঠন ‘জলতরঙ্গ’। যদিও তাঁকে স্মরণ করে অনুষ্ঠানটির আয়োজন থাকছে ২২ নভেম্বর।
সলিল চৌধুরীকে নিয়ে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজনটি প্রসঙ্গে চ্যানেল আই অনলাইনকে ‘জলতরঙ্গ’র সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন তপন বলেন, সংগীতের প্রবাদ পুরুষ সলিল চৌধুরী। তাঁর জন্মদিনটি ১৯ নভেম্বর হলেও আমরা তাঁকে স্মরণ করে আয়োজনটি রেখেছি ২২ নভেম্বর। এদিন সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে আমরা জমায়েত হবো। সলিল চৌধুরীর সাড়া জাগানো কালজয়ী গান, তাঁর কবিতা আর জীবনীর কিছু অংশ জলতরঙ্গের পরিবেশনায় আমরা উপস্থাপন করবো।
চলতি বছরের শুরু থেকে সলিল চৌধুরীর জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ‘জলতরঙ্গ’। প্রায় প্রতিদিন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে মহড়ার চালিয়ে গেছেন বলে এরআগে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছিলেন জাকির হোসেন তপন।
সংগীত এবং কাব্য সাহিত্য নিয়ে কাজ করে চলেছে জলতরঙ্গ। পুরনো দিনের গান কবিতা নিয়ে শ্রোতার আসর আয়োজন এবং প্রকাশনা করছেন নিয়মিতভাবে। প্রতি মাসে শ্রোতার আসর, বছরে একটি বড় অনুষ্ঠান করে সবার নজরে এসেছে। জলতরঙ্গের সভাপতি মাসুদা খান ইতি ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন তপন।