আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রাজাকার দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর আপিলের নিস্পত্তি হলেও দশ মাসে প্রকাশ হয়নি পূর্ণাঙ্গ রায়। অপরদিকে বদর প্রধান আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের আপিলের নিস্পত্তি হয় ১৬ জুন ২০১৫। দেড়মাস হলেও মুজাহিদের আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির দণ্ড দিয়েছিলেন আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে আপিল বিভাগের রায়ে ফাঁসির দণ্ড পরিবর্তন করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে এ রায় দেন আপিল বিভাগ।
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এক রায়ে সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল আটটি অভিযোগে সাঈদীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এসব অভিযোগের মধ্যে ইব্রাহিম কুট্টি ও বিশাবালীকে হত্যার অভিযোগে সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
অন্য ছয়টি অভিযোগে কোনো সাজা দেননি ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ে বলা হয়েছিল, যেহেতু দুটি অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হলো, তাই অন্য প্রমাণিত অপরাধে শাস্তি দেয়ার প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া ১২টি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সেসব অভিযোগ সাঈদীকে খালাস দেয়া হয়।
আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ
বুদ্ধিজীবীদের ঘাতক জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৪ সদস্যর বেঞ্চ এক অপরাধে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। একটিতে মৃত্যুদণ্ডের বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন সর্বোচ্চ আদালত এবং অন্য একটিতে আপিল গ্রহণ করে মৃত্যুদণ্ড থেকে অব্যাহতি দেন।
এর আগে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগের মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া মুজাহিদকে ২ অগাস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১২ সালের ২১ জুন ট্রাইব্যুনালে তার বিচার শুরু হয়। ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই ট্রাইব্যুনাল তাকে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১১ অগাস্ট আপিল করেন তিনি। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল না করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে। গত ১৬ জুন মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিলের রায় ঘোষণা করেন সর্বোচ্চ আদালত। এখন পূর্ণাঙ্গ রায়ের অপেক্ষা।
এখন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলাতেও পূর্ণাঙ্গ রায়ের অপেক্ষা শুরু হলো।