শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় দেশের কিছু জায়গায় ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো নিয়ে সরকার এবং বিএনপি একে অন্যকে দুষছে।
বিএনপি আবারও তাদের সেই পুরনো রূপে ফিরে এসে নতুন করে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করছেন, জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতে সরকার পরিকল্পিতভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা করিয়েছে।
নিজ বাসভবন থেকে ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, বিএনপি আবারও তাদের সেই পুরনো রূপে ফিরে এসে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছে। ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যাওয়ার যে রঙিন খোয়াব বিএনপি দেখছে, তা অচিরেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
বিএনপির শাসনামলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য প্রতিটি রাত ছিলো দুঃস্বপ্নের উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শুধু তাই নয়, সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্যও প্রতিটি রাত ছিলো দুঃস্বপ্নের, এই বুঝি মন্দিরে, বাড়ি-ঘরে হামলা হলো!
বিএনপি আবারও তাদের সেই পুরনো রূপে ফিরে আসছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা নতুন করে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিচ্ছে এবং সহযোগিতা করছে।
অন্যদিকে পূজার সময় সহিংসতার ঘটনা সরকারের পরিকল্পিত বলে অভিযোগ করছেন বিএনপি নেতারা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে দলের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতে চাইছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘‘এগুলো করেছে এই সরকার। কুমিল্লার ঘটনা ঘটানোর কারণ হলো তাদের (সরকার) ব্যর্থতা, গণতন্ত্রহীনতা, জোর জবরদস্তি ডাকাতের মতো করে ক্ষমতা দখল করে আছে, এখান থেকে বিশ্বে নিজের ভাবমূর্তি ভালো করার জন্য।’’
দেশের সব সম্প্রদায়ের বন্ধুত্বের বন্ধনীর মধ্য দিয়ে যেকোনো উসকানি বিএনপি রুখে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমাদের দৃঢ় বন্ধন আমরা বজায় রাখব। এই সরকারের উসকানির মুখে আমরা কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাব না। কারণ আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির।
পূজার সময় অপ্রীতিকর ঘটনায় বড় দুই দল একে অন্যকে দুষলেও তারা বলেছেন, ষড়যন্ত্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা যাবে না।