লালমনিরহাটে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহতের পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
এ ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে কমিশন দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
শুক্রবার রাতে পাঠানো মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিশন মনে করে, ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে যা ইচ্ছে বলার অধিকার যেমন কারো নেই, তেমনি আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে হত্যা করার অধিকারও কাউকে দেয়া হয়নি।
এতে আরও বলা হয়েছে, নিহত ব্যক্তিটি ভারসাম্যহীন ছিলেন কিনা এবং প্রকৃতপক্ষে কি করেছিলেন তা খতিয়ে দেখে আইনের আওতায় বিষয়টি সমাধান করা সমীচীন ছিল মনে করে কমিশন। একটি সভ্য সমাজে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে গণপিটুনি এবং আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে বর্বর হত্যাকাণ্ড মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
কমিশন থেকে ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের জন্য কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীরের (জেলা ও দায়রা জজ) নেতৃত্বে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে পিটিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে মো. সহিদুন্নবী জুয়েল নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে স্থানীয় জনতা। নিহত সহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রি পাড়ার আবু ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে।
একই ঘটনায় আহত সুলতান জুবায়ের আব্বাসকে (৫১) পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আব্বাস রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়ার শেখ আব্বাস আলীর ছেলে।