কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, পুষ্টি সচেতনতা তৈরি হলে সবজির চাহিদা বাড়বে এবং কৃষকও ন্যায্য মূল্য পাবেন। ঢাকায় প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে সবজি মেলা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন। পুষ্টি নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য নিরসনে বছরজুড়ে হরেক রকম সবজি চাষের গুরুত্বও তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী।
রোববার জাতীয় সবজি মেলার সূচনা পর্বে আলোচনার বিষয় ছিলো পুষ্টি নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য নিরসনে বছরজুড়ে হরেক রকম সবজি চাষের গুরুত্ব।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসংস্থান বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের কর্মসংস্থানে সবজি উৎপাদন বর্তমানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা আমাদের তেমন নেই। এ সচেতনতা যদি মানুষের মধ্যে আনা যায় তাহলে সবজি বেশি করে খাওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া বলেন, আমাদের দেশে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হরেক রকম রঙিন শাক-সবজি। মেগনেসিয়াম সমৃদ্ধ কালার শাক-সবজি এবং কপার সমৃদ্ধ সবজি। এসব সবিজ প্রতিদেন খেলে সুস্থ থাকা সম্ভব। বিষমুক্ত সবজি চাষের জন্য জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার এবং মান বজায় রেখে সবজি বাজারজাত করার কথা বলেন বক্তারা।
এর আগে ‘হরেক রকম সবজি চাষে সারা বছর অভাব নাশে’ এ শ্লোগানে মেলা উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী এবং পানিসম্পদ মন্ত্রী। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে তিন দিনের মেলায় কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অংশ নিয়েছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সবজি এবং সবজিজাত পণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন কৃষকরা। রাজধানীর খামার বাড়ির ‘আ কা মু গিয়াস উদ্দীন মিলকি অডিটোরিয়াম’ চত্বরে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সবজি মেলা চলবে।