সাইকেল মেরামত করতে দেয়ার দুই মাসের বেশি অতিক্রান্ত হলেও সাইকেল ফিরে পায়নি আবিন ও তার ভাই। এমনকি বহুবার ফোন করার পরও দোকানদারের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। দোকানও বন্ধ পাওয়া যায়।
এমতাবস্থায় পুলিশের হস্তক্ষেপ চেয়ে নিজ হস্তে অভিযোগপত্র লিখেছে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা নিজেদের সাইকেল ফিরেও পেয়েছে।
এনডিটিভি জানায়, ঘটনাটি ভারতের কেরালার। ২৫ নভেম্বরের আবিন মালায়লাম ভাষায় অভিযোগপত্রে লিখেছে যে, গত ৫ সেপ্টেম্বর নিজের এবং ভাইয়ের সাইকেল মেরামত করতে দেয়। দুই মাস অতিক্রম করলেও সাইকেল পায়নি তারা। বহুবার ফোন করে জানানোর পরও দোকান মালিক তাদের সাইকেল ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি তিনি দোকানও বন্ধ করে রেখেছেন।
আবিন লিখেন, সাইকেল ফিরে পেতে সহযোগিতা করার মতো কেউ নেই তাদের। তাই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।
কেরালা পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তারা কাজ করেছেন। পুলিশ অফিসার রাধিকা এনপি দোকানে গিয়ে সাইকেল মেরামত করতে দেরি করার কারণ সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন।
দোকান মালিক পুলিশকে জানান যে, অসুস্থতা এবং পুত্রের বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে সাইকেল মেরামত করতে দেরি হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে মেরামত করে সাইকেল ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে দোকান মালিক পুলিশের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন।
পরবর্তী এক পোস্টে কেরালা পুলিশ আবির ও তার ভাইয়ের সাইকেল সহ ছবি শেয়ার করে লিখেছেন যে, তারা তাদের সাইকেল নিয়ে পুনরায় একত্রিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কেরালা পুলিশ শিশুটির হাতের লেখা অভিযোগপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার পর ৬৫ হাজার লাইক পড়েছে এবং মন্তব্য আসে হাজারের অধিক। পোস্টটি ৪ হাজার বারের বেশি শেয়ার হয়েছে।
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী কেরালা পুলিশের প্রশংসা করে লিখেছেন, দারুণ কাজ করেছেন।
আরেকজন লিখেছেন, এভাবে সহযোগিতা করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।