চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ২ জন নিহত হয়েছে। এসময় পুলিশের ৮ সদস্য আহত হয়েছে বলেও জানা গেছে। এ ঘটনায় মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোররাতে নগরীর রাজাপাড়া দক্ষিণ চৌমুহনী মোড় এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে  তোফায়েল (২৩) নামে একজন নিহত হয়েছে। এ সময় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, একটি সুইস গিয়ার ছুরি ও ৪শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে।

নিহত তোফায়েল নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার নোমান ওরফে রোমান ওরফে সবুজের ছেলে।

পুলিশ জানায়: বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টার দিকে নগরীর রাজাপাড়া দক্ষিণ চৌমুহনী মোড়ে মাদক উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী তোফায়েল ও তার সহযোগীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোঁড়ে। একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী তোফায়েল গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান: নিহত তোফায়েল পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে থানায় ৬টির অধিক মামলা রয়েছে।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডাকাত সন্দেহে গুলিতে লিপু ওরফে বোমা লিপু নামে একজন নিহত হয়েছে।

পুলিশের দাবি, সে ডাকাত দলের সদস্য এবং বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে।

বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার দাপা বালুর মাঠ এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের চারজন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত লিপু ফতুল্লার পিলকুনি এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, মাদক, অস্ত্র, বোমা ও নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টির বেশি মামলা রয়েছে।

জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামরুল হাসান জানান: বুধবার সন্ধ্যায় লিপুকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় তার কাছে মাদক ও অস্ত্র রয়েছে। তার দেয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার ভোররাতে দাপা বালুর মাঠ এলাকায় মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে লিপুর সহযোগিরা তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে লিপুর সহযোগিরা তাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় লিপু গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বন্দুকযুদ্ধের সময় আহত হন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক এনামুল হক, এসআই কামরুল হাসান, এএসআই জুয়েল ও কনস্টেবল নাদিম। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশিয় তৈরি ওয়ান শুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের দাবি, নিহত লিপু আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য এবং জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত অপরাধী ও মাদক ব্যবসায়ী। তাকে ধরিয়ে দিতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ইতপূর্বে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।