দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বিরলে পুলিশের গুলিতে একজন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় অভিনব প্রতিবাদ করেছেন দুই শিক্ষার্থী।
শুক্রবার বিকেলে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ওই দুই শিক্ষার্থী করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই এমন প্রতিবাদ জানান।
সে সময় তাদের হাতে কাগজে লেখা ছিল ‘রাষ্ট্র তুমি কার? মেহনতী মানুষের না কেবল শোষকের? বিরল জুট মিলে শ্রমিক হত্যা কেন?
প্রতিবাদ কর্মসূচীতে তারা বিরল রূপালী বাংলা জুট মিলে পুলিশের গুলিতে একজন নিহতের ঘটনায় জড়িতদের তদন্তের মাধ্যমে বিচার, বিরলসহ সারাদেশের সকল শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার পূরণ করা এবং সারাদেশে সকল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানায়।
এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন, ছাত্র অধিকার পরিষদ দিনাজপুর শাখার সমন্বয়ক একরামুল হক আবির ও সদস্য হারুন উর রশিদ হিমেল।
তারা বলেন, একজন শ্রমিক বকেয়া বেতন নেয়ার জন্য মিলগেটে অবস্থান নিবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এতে গুলি বর্ষণের ঘটনা দু:খজনক। কোনভাবেই একজন শ্রমিকের প্রাণ কেড়ে নেয়ার এমন ঘটনা মেনে নেয়ার মত নয়। তাই এই ঘটনায় যারা জড়িত প্রকৃত তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান তারা।
বুধবার বিকেলে কোনো নোটিশ ছাড়াই বিরল উপজেলার রূপালী বাংলা জুট মিল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
সে সময় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যাতে করে শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে ভাংচুর শুরু করে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে, যাতে সুরত আলী নামে একজন চা ও পান দোকানী নিহত হয়। এই সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ পুলিশসহ ১৩জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
নিহত সুরত আলী বিরল পৌরসভা এলাকার হোসনা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
ভাংচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বৃৃহস্পতিবার দুপুরে ১১‘শ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।
ওই ঘটনায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ প্রশাসন পৃথক পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করে।