খাতা সংকটে পড়েছে চলমান এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা। পরীক্ষা চলছে দুর্যোগকালীন সময় ব্যবহারের জন্য মজুদ খাতা দিয়ে। বোর্ড বলছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাগজ সরবরাহ করতে না পারায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সংকট মোকাবেলায় জরুরি ব্যবস্থা নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ১০ টি শিক্ষা বোর্ড থেকে এ পরীক্ষায় এবার অংশ নিয়েছে ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বলছে, বিশাল এই কর্মযজ্ঞের সবকিছু ঠিকঠাক মতোই এগুচ্ছে। তবে বিপত্তি দেখা দিয়েছে উত্তরপত্রের কাগজ বা খাতা নিয়ে। মাত্র ৩ টি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই দেখা দিয়েছে খাতা সংকট।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব শাহেদুল খবির চৌধুরী জানান, তাদের নির্দেশনা দেয়া আছে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে।
‘কিন্তু আমরা যখন দেখি সংকট চলছে, তখন পাবলিক পরীক্ষাকে সবার আগে গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করি যে কোনো প্রক্রিয়ায় জোগাড় করার। আমাদের আপদকালীন মজুদ থাকে। আমরা সেখান থেকেই ম্যানেজ করার চেষ্টা করি।’
সচিব জানান, রাষ্ট্রীয় কর্ণফুলী পেপার মিলের উৎপাদনশীলতা ক্রমবর্ধমান পরীক্ষার্থীর চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও শিক্ষা বোর্ড এখন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করছে। তবে ভবিষ্যতে হয়তো অন্য উৎস থেকেও কাগজ ও অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহের প্রয়োজন পড়তে পারে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বলছে, দাখিল পরীক্ষার খাতার চাহিদা অনুযায়ী ১১ হাজার রিম কাগজের অর্ধেকও সরবরাহ করতে পারেনি কর্ণফুলী পেপার মিল। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম ছয়েফ উল্ল্যা বলেন, কর্ণফুলী পেপার মিলকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কাগজ সরবরাহ করতে তাগাদা দিলেও তারা ধীরে ধীরে কাগজ পাঠিয়েছে।
‘এর ফলে আমরা প্রতিনিয়ত দুশ্চিন্তায় ছিলাম,’ বলেন চেয়ারম্যান, ‘প্রতিনিয়ত বিজি প্রেস আমাদের চাপ দিতে থাকে। তাই আমাদের গোডাউনে থাকা পুরোনো খাতাই আমরা রিপ্যাকেজিং ও রিসাইজিং করে আমাদের পরীক্ষা নিতে হচ্ছে।
মাদ্রাসা বোর্ডের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করা হবে, মন্ত্রীরা এমন আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
পাবলিক পরীক্ষায় সবগুলো বোর্ডের প্রশ্নপত্র ছাপা থেকে শুরু করে পরীক্ষার সব কিছুর দিক নির্দেশনার সমন্বয় করে থাকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। বোর্ড বলছে, বিশেষ একটি কাগজ দিয়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপা হয়। চলতি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপার আগেও ওই কাগজের সংকট দেখা দিলেও শেষ মুহূর্তে এসে বিকল্প উপায়ে তার সমাধান করা হয়েছে।