চোটের কারণে নেই তামিম, সাকিব ছুটিতে, টেস্ট থেকে অবসরে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ তিনের অনুপস্থিতি, নিজেদের খুঁজে ফিরছেন তরুণরা। তবুও আশাবাদী মুমিনুল হক। নতুন বছরের শুরুটা ভালো কিছুতে রাঙাতে চান বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক। আসছে বছরটা এগোতে চান ধাপে ধাপে।
বছরের প্রথমদিনে, শনিবার দিবাগত রাত তথা বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় বে ওভালে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের খেলা। সরাসরি দেখাবে টি-স্পোর্টস ও গাজী টিভি। আগেরদিন শুক্রবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে টাইগারদের সাদা পোশাকের অধিনায়ক বাস্তবতার পিঠের পাশাপাশি বললেন আশার অনেক কথাই।
ব্ল্যাক ক্যাপস ডেরায় টাইগারদের ক্রিকেট ইতিহাস সুখকর নয়। তিন ফরম্যাটে সবমিলিয়ে ৩২ ম্যাচ খেলে এখনও জয়ের দেখা মেলেনি। ইতিহাস বদলানোর আশায় নতুন বছরে ভালো কিছু ভাবতে চান মুমিনুল। মনোযোগ রাখতে চান দলগত পারফরম্যান্সের দিকে। রাঙাতে চান নতুন বছরের শুরুটা।
‘অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে কোনো লাভ নেই। নিউজিল্যান্ডে অবশ্যই অনেকবেশি চ্যালেঞ্জ থাকবে। আগে থেকেই যদি নেতিবাচক চিন্তা করেন, ভালো ফলাফল আসবে না। যত চ্যালেঞ্জ থাকুক, আশাবাদী থাকা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যতগুলো টেস্ট জিতেছি, তা দলগত পারফরম্যান্সের কারণে। সেদিকেই মনোযোগ দিতে হবে।’ বলেছেন মুমিনুল।
শেষ হতে চলা বছরে করোনা ইস্যু মাথায় নিয়েও ৭টি টেস্ট খেলেছে টাইগাররা। পাঁচটিতেই মানতে হয়েছে হার। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং (বিশেষ করে ক্যাচ) সব বিভাগে খারাপ একটা বছর কাটিয়েছেন মুমিনুলরা। এমন নেতিবাচক পরিস্থিতির মাঝেও কিছুটা ইতিবাচক বিষয় খুঁজেছেন অধিনায়ক। কিউইদের শক্তিশালী পেস অ্যাটাক সামাল দিতেও বদ্ধপরিকর দল।
নিউজিল্যান্ডের পিচ নিয়ে আহামরি কিছু না ভাবলেও মুমিনুল মানছেন তাদের পেস অ্যাটাক সমস্যা তৈরি করবে। আশাবাদী থাকছেন তরুণ ব্যাটাররা ঠিকঠাক সামলে নেবেন, ‘ওদের পেস বোলিং সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের। এই চ্যালেঞ্জ নেয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের আছে, নেয়া উচিত।’
উইকেট প্রসঙ্গে মুমিনুল বললেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, নিউজিল্যান্ডে আসার আগে উইকেট যেভাবে চিন্তা করবেন, সেরকমই হবে। বিদেশে খেলার সময় মাইন্ড সেটআপটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট যদি চিন্তা করেন যে খুব চ্যালেঞ্জিং হবে, তাহলে ওরকমই হবে।’
‘যেহেতু রোদ আছে, মনে হয় উইকেট ভালো হবে। ব্যাটিং করে ব্যাটসম্যানরা এনজয় করবে, বোলারদেরও সহায়তা থাকবে। হার্ড বাউন্স ও উইকেট থাকবে সুন্দর। প্রথম দিকে এক-দেড়ঘণ্টা হয়ত চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি থাকবে। যেটা সবসময় নিউজিল্যান্ডে বা বিশ্বের সব উইকেটেই হয়।’
নতুন বছরে নতুন চাওয়ায় আশাবাদী থাকছেন মুমিনুল, ‘নতুন বছরে সবসময় ভালো কিছু চাইব। এ বছর খারাপ গেলেও, দল ১০ নম্বর হলেও, আমি ভালো কিছুর কথা বলবো। অধিনায়ক হিসেবে কখনও খারাপ চিন্তার কথা বলবো না, খারাপ হলেও সবসময় ভালো চিন্তাই করবো।’
‘২০২২ সালে কী ঘটবে সেটা নিয়ে চিন্তা করছি না। চলতি সিরিজে আমার সব দৃষ্টি। কীভাবে আমরা আরও ভালো করতে পারি, জিততে পারি— সেটাই চেষ্টা করছি। আমাদের লক্ষ্য একেবারে ঠিক করা একটু কঠিন। সামনে সাউথ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কার মতো কঠিন কন্ডিশনে খেলবো। আমরা তাই ছোটছোট লক্ষ্য ঠিক রাখছি। খুব বেশি দূরের চিন্তা আনছি না।’