ক্রিমিয়ায় ২শ’ ৪০ বছরের পুরোনো এক বোতল ওয়াইন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনিকে পান করানোর পর ওই মদের কারখানার পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, ওই প্রাচীন ওয়াইনের বোতলটির বাজার মূল্য ছিল ৯০ হাজার মার্কিন ডলারেরও বেশি।
তবে সমস্যা হলো, যেখানে এই ঘটনাটি ঘটেছে, ক্রিমিয়ার সেই মাসান্দ্রা ওয়াইনারি এখন আর ইউক্রেন সরকারের সম্পত্তি নয়। ২০১৪ সালের মার্চ থেকেই ক্রিমিয়া রাশিয়ার দখলে। সেখানে ইউক্রেনের আইন এখন অচল।
ভ্লাদিমির পুতিন ও সিলভিও বার্লুসকোনির বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের যা বার্লুসকোনির প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পরও অটুট রয়েছে। বিবিসি বাংলা জানায়, গত সপ্তাহে তারা ক্রিমিয়ায় অবকাশ যাপনে গিয়ে সেখানকার প্রাচীন নিদর্শন দেখতে বের হন।
এক পর্যায়ে তারা ক্রিমিয়ার বিশ্বখ্যাত ওয়াইন উৎপাদনকারী কারখানা মাসান্দ্রাতে যান। সেখানে বহু বছরের পুরোনো ধূলোয়-ঢাকা ওয়াইনের বোতলের সংগ্রহ তাদের দেখান ওয়াইনারির প্রধান ইয়ানিনা পাভলেংকো। এক সময় ১৭৭৫ সালের একটি পুরোনো বোতলের দিকে ইঙ্গিত করে বার্লুসকোনি ইংরেজিতে প্রশ্ন করেন, ‘এটা কি পান করা সম্ভব?’ ‘হ্যাঁ’ – জবাব দেন পাভলেংকো।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, এর পর মিজ পাভলেংকো বোতলটির ছিপি খোলেন। তার পর বোতলটির কি হয়েছে তা স্পষ্ট জানা যায়নি, তবে ওই ওয়াইন খেয়ে ফেলা হয়েছে বলেই ধারণা করা হয়।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, তারা ওই ঘটনার সংবাদ রুশ টেলিভিশনে দেখার পর পাভলেংকোর বিরুদ্ধে সম্পদ আত্মসাতের মামলা করতে যাচ্ছেন।
‘কারণ এটি ছিল পাঁচ বোতল দুষ্প্রাপ্য ওয়াইনের একটি সংগ্রহের অংশ – যা শুধু মাসান্দ্রা বা ক্রিমিয়াই নয়, বরং ইউক্রেনের জনগণের ঐতিহ্যের অংশ,’ বার্তা সংস্থা এপিকে জানান আইনজীবী নাজার খোলোদিনস্কি।
তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে একই ধরণের দু’বোতল ওয়াইন লন্ডনে এক নিলামে বিক্রি হয় ৪৯ হাজার ডলারেরও বেশি দামে।