রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের ঘটনায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়েছে রাশিয়া ও তুরস্ক। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আগুন নিয়ে খেলতে মানা করেছেন।
এমন বক্তব্যের জন্য এরদোগানের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তুরস্কের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে রাশিয়া।
আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছিলো তুরস্ক, যদিও রাশিয়ার দাবি বিমানটি সিরিয়ার আকাশে ছিলো।
দুই দেশের এই মতানৈক্য এখন চরম রূপ নিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের দাবি, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদেরবিরোধীদের ওপর হামলা চালিয়ে ও বিমান ভূপাতিত করার পর তুরস্ককে উল্টোপাল্টা অপবাদ দিয়ে বিপদ নিয়ে খেলছে রাশিয়া।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের পুতিনের সাথে সাক্ষাতের আশা সম্ভবত দূরাশা। এরদোগান তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন দেখা করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে ক্রেমলিন।
শুধু তুর্কি প্রেসিডেন্টের ক্ষমাই নয়, তুরস্কের কাছ থেকে মাশুলও চাইছে রাশিয়া। আর তাই দেশটির ওপর নানা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো।
রাশিয়া তুরস্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য ক্ষেত্র হওয়ায় তেমন নিষেধাজ্ঞার ফল হতে পারে ভয়াবহ। এরই মধ্যে আগামী বছরের প্রথম দিন থেকে তুরস্কের নাগরিকদের ভিসামুক্ত প্রবেশ বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে আর তুরস্ক বিপক্ষে থাকায় – দু’ দেশের মধ্যে আগে থেকেই আদর্শগত পার্থক্য রয়েছে।
তাদের সাম্প্রতিক সময়ের উত্তেজনা এ অঞ্চলের রাজনীতিতে কি প্রভাব ফেলে তা দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব।