সাঁতারে আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার আমলা ইউনিয়নের সাঁতারুরা। তিন বেলা সবার খাবার জোটে না। নেই কোন সুইমিং পুল, কিংবা সাঁতারের জন্য ভাল পোশাক। তারপরও পুকুরে সাঁতার শিখেই দেশী বিদেশী অঙ্গনে পদক জয় করছে সাঁতার পল্লীর ছেলে মেয়েরা।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা আমলা ইউনিয়ন। সাঁতারে দেশীয় অঙ্গনে শক্ত অবস্থানে এ গ্রামের ছেলে-মেয়েরা। দেশের যে প্রান্তেই সাঁতার প্রতিযোগিতা হোক না কেন তাতে সবার আগে থাকেন আমলার সাঁতারুরা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, আনসার, বিজেএমসিসহ নানা প্রতিষ্ঠানের হয়েও সাঁতারে লড়ছে এরা। তবে তারা নামি কোন সুইমিং পুলে নয় সাঁতার শেখেন আমলা সরকারী কলেজের এঁদো পুকুরে।
আশির দশকে আমলা ইউনিয়নে সাঁতারের গোড়াপত্তন আমিরুল নামে এক স্কুল শিক্ষকের হাত ধরে। এখান থেকেই ওঠে এসেছেন সাঁতারু রুবেল রানা, সবুরা, মমতাজ শিরিন ও লাভলীর মতো জাতীয় সাঁতারুরা। সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় আধুনিক সুইমিংপুল নির্মাণ হলেও নেই কোন আর্থিক অনুদান, নেই ভালো খাবারে ব্যবস্থা।
সংগঠক ও সাঁতার প্রশিক্ষক আনোয়ার হোসেন বুড়ে বলেন,‘ হাজার কষ্ট হলেও এরা আসে। অনেক সময় না খেয়েই স্কুল থেকে চলে আসে।সাঁতারু ও সংগঠক কামাল হোসেন বলেন,‘ সুইমিং পুল না হলেও যেনো এখানে মান সম্পন্ন একটি অবকাঠামো গড়ে ওঠা উচিৎ’।
সাবেক সাঁতারু বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন,‘ প্রতিভাধরদের এই আন্তরিক প্রচেষ্টাকে ধরে রাখতে আমরা অবশ্যই একটি অনুশীলন উপযোগী অবকাঠামো তৈরি করে দেবো’।
সুইমিংপুল এবং প্রশিক্ষণ পেলে এসব প্রতিভাবানরা সাঁতারে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন ক্রীড়া সংগঠকরা।