শেয়ারবাজারে ফ্লোর প্রাইস এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা। তাই বাজারকে সঠিকভাবে চলতে (মুভ) দেয়া উচিত। কিছু বিষয় নিয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কথা বলে যতদ্রুত সম্ভব ফ্লোর প্রাইসের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এসব কথা বলেন।
শনিবার পুঁজিবাজারে করোনাভাইরাসের প্রভাব ও উত্তরণের উপায় সম্পর্কিত রিসার্জেন্ট ডায়ালগে তিনি এ কথা বলেন।
মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ এর উদ্যোগে গঠিত রিসার্জেন্ট বাংলাদেশ এই ডায়ালগের আয়োজন করে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য প্রত্যেক ব্যাংককে স্বল্প সুদে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের যে সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক, তাতে ধীরে ধীরে অগ্রগতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৩টি ব্যাংক ওই তহবিল থেকে কারা কত টাকা বিনিয়োগ করেছে বিএসইসিতে সেই রিপোর্ট পাঠাচ্ছে। বাকি ব্যাংকগুলোর তহবিল গঠনের বিষয়ে চেষ্টা চলছে।
বিশেষ তহবিল গঠনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপনের কিছু শর্তের কারণে বিনিয়োগ ব্যাহত হতে পারে জানিয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, এসব শর্তের বিষয় পুনঃবিবেচনা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ব্যাপারে ব্যাংকের পাশাপাশি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তারল্য সুবিধা বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আইসিবিকে স্বল্প সুদের তহবিল সুবিধা দেয়ার জন্যও অনুরোধ জানানো হবে।
পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও অটোমেশনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন জানিয়ে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, অটোমেশন হয়ে গেলে ব্যবসা সহজ হবে। স্টেকহোল্ডারদের সময় ও খরচ বাঁচবে। বাজারে আরও স্বচ্ছতা ও সুশাসন আসবে। বাজারের পরিধি প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব হবে। সব মিলিয়ে দুই বছর পর একটি গতিশীল বাজার দেখা যাবে।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে যেসব কোম্পানির আইপিও এসেছে সেগুলোর বেশিরভাগেরই মৌলভিত্তি ভাল নয়। অনেক কোম্পানি জাল কাগজপত্র বিএসইসিতে জমা দিয়ে আইপিও পাশ করিয়ে নিয়েছে। বিএসইসি এসব কাগজপত্রের উপর বিশ্বাস করেছে বলে তাদের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি সঠিক হয়নি, অনেক ভুল হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা চিহ্নিত করে শাস্তির মুখোমুখী করা হচ্ছে, যাতে নতুন করে কেউ এমন কাজের সাহস না দেখায়।
বহুল আলোচিত বাইব্যাক পদ্ধতি চালুর জন্য কোম্পানি আইনে সংশোধনের সময় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।