চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: খালাস পেলেন আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী

পিলখানায় সংঘটিত কথিত বিদ্রোহের ঘটনায় দেয়া হাইকোর্টের রায়ে খালাস পেয়েছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক ৪৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি তোরাব আলী। সোমবার বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চের দেয়া রায়ে তিনি খালাস পান।

এর আগে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে ৩০২ ধারায় তোরাব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে পিলখানা ট্র্যাজেডিতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা হয়। এটি ছিলো দেশের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় হত্যা মামলা।

ওই রায়ের পর মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের ‘ডেথ রেফারেন্স’ হাইকোর্টে আসে। সেই সঙ্গে আসামিরা দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল ও জেল আপিল করেন। বিচারিক আদালতে খালাস পাওয়া ৬৯ জনের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১৫২ জনের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৪ জনকে খালাস দিয়েছেন। অন্য একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৬০ জনের মধ্যে হাইকোর্টে ১৪৬ জনের সাজা বহাল এবং ১২ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বিচার চলাকালে বাকি দুই সাজাপ্রাপ্তের মৃত্যু হয়।

আর বিচারিক আদালতের রায়ে খালাস পাওয়া ৬৯ জনের মধ্যে ৩১ জনের সাজা বাড়িয়ে যাবজ্জীবন এবং ৪ জনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। বাকি ৩৪ জনের খালাসের আদেশ বহাল রাখা হয়েছে।

বিডিআরের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিকল্পিত ওই বিদ্রোহের কথা তোরাব আলী আগে থেকেই জানতেন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনা জেনেও তা কর্তৃপক্ষকে না জানানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আখতারুজ্জামান বিচারিক আদালতে তাকে দণ্ড দিয়েছিলেন।

পরে ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ (বৃহত্তর) বেঞ্চে মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল ৩৭০ কার্যদিবসে সেই শুনানি শেষ হয়। আর এর আপিলের রায়েই খালাস পেলেন তোরাব আলী।