আজ কথিত বিডিআর বিদ্রোহের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের সেই ভয়াল দিন। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি নিম্ন আদালতে নিস্পত্তি হলেও আসামীপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করায় এর ডেথ রেফারেন্সের শুনানি চলছে উচ্চ আদালতে। এটর্নি জেনারেল বলেছেন, দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই হাইকোর্টে মামলাটির নিস্পত্তি হবে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই সময়ের বিডিআর সদরদপ্তর পিলখানায় তথাকথিত বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। ঘটনার পর বিডিআরের ডিএডি তৌহিদকে প্রধান আসামী করে সহস্রাধিক বিডিআর সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারী আইনে দুটি মামলা হয়।
২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি ৮২৪ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়ার মাধ্যমে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে শুরু হয় বিচারকাজ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে আদালতে সাক্ষ্য দেন ৬৫৪ জন।
ঘটনার প্রায় চার বছর আট মাস পর হত্যা মামলার রায় দেন আদালত। এতে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬২ জনের যাবজ্জীবন আর আড়াইশো আসামীকে খালাস দেন বিচারক। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড হয়।
সাজার বিরুদ্ধে আসামীরা হাইকোর্টে আপিল করলে একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয় মামলার শুনানির জন্য। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বেশির ভাগ আসামীর আপিল শুনানি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন এটর্নি জেনারেল।
এটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলম বলেন, আসামীদের পক্ষে ১১৯ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের পক্ষে বক্তব্য রাখা হয়েছে। বাকি কয়েক জনের বক্তব্য নেওয়া এ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।
হত্যা মামলায় আড়াইশোর বেশি আসামী খালাস পেলেও নিম্ন আদালতে বিস্ফোরক মামলাটির নিস্পত্তি না হওয়ায় তারা মুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে আসামীপক্ষ।
আসামীপক্ষের আইনজীবী শামীম সরদার বলেন, এই যে খালাস পাওয়া আসামীরা বিস্ফোরক মামলার কারণে এখনো জেল হাজতেই আছে। যদি এই বিস্ফোরক মামলারটির নিস্পত্তি হতো তাহলে আসামিরা বাইরে আসতে পারতো।
হাইকোর্টে মামলাটি নিস্পত্তির পর আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল হলে মামলার চূড়ান্ত নিস্পত্তি হতে লেগে যেতে পারে আরো অনেক সময়।
এর বাইরে বিদ্রোহের ঘটনায় তৎকালীন বিডিআর আইনেও আলাদাভাবে আসামীদের বিচার হয়েছে।